হতদরিদ্রদের চাল আত্মসাৎকারী পাওয়া গেলেই ব্যবস্থা খাদ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

প্রকাশ | ০৫ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
হতদরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা কেজিদরে চাল বিক্রি করছে সরকার। আর এই চাল অবৈধভাবে আত্মসাৎ করছে জনপ্রতিনিধি, ডিলারসহ প্রভাবশালীরা। বিষয়টি সরকারের নজরে আসায় তা প্রতিহত করতে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে আজকের (রোববার) মধ্যে অবৈধভাবে চাল আত্মসাৎকারীরা যদি তা ফেরত দেন তবে তারা আইনের আওতায় আসবেন না। তবে সোমবার থেকে আত্মসাৎকারী পাওয়া গেলেই সরাসরি আইনের আওতায় নেওয়া হবে। জানা গেছে, হতদরিদ্রদের ১০ টাকা কেজিদরে চাল বিক্রির খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির বেনামি বা অবৈধ কার্ড জনপ্রতিনিধি-ডিলারসহ অনেকের কাছেই আছে। তাদের রোববারের মধ্যে এসব অবৈধ কার্ড জমা দিতে বলেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এরপর কোনো অবৈধ কার্ড ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে সব জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের (ডিসি-ফুড) কাছে পাঠানো \হচিঠিতে খাদ্যমন্ত্রী এ কথা জানিয়েছেন। মন্ত্রী চিঠিতে লিখেছেন, আপনারা জানেন, প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সাল থেকে দরিদ্রদের জন্য 'শেখ হাসিনার বাংলাদেশ/ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ'- এই সেস্নাগানকে সামনে রেখে 'খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি' চালু করেছেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে ৫০ লাখ পরিবারকে মাসে ৩০ কেজি করে ১০ টাকা কেজিদরে চাল দিয়ে যাচ্ছেন। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল ডিলার মারফত কার্ডের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমান খাদ্য সচিব প্রায় তিন মাস আগে সব জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে তালিকাগুলো হালনাগদ করার জন্য চিঠি দিয়েছিলেন। এরপরও তালিকা যদি সম্পূর্ণ হালনাগাদ না হয়ে থাকে তবে এক্ষুনি আপনাদের কাছে আমার নির্দেশনা- যদি কোনো ডিলার, কোনো মেম্বার বা কেউ যদি বেনামি কার্ড সংরক্ষণ করে থাকেন তবে ৫ এপ্রিলের মধ্যে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট তা জমা দেবেন এবং স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নীতিমালা অনুসরণ করে রিপেস্নসমেন্ট করবেন। চিঠিতে জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের আরও বলা হয়, এই নির্দেশনার পরও যদি কোনো অবৈধ কার্ড ধরা পড়ে, তবে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। বিষয়টি সব উপজেলা নির্বাহী অফিসারকেও জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে এবং সোমবার থেকেই আত্মসাৎকারীদের আইনের আওতায় আনার জন্য বলা হয়েছে।