অলিগলিতে রমরমা কাঁচাবাজার সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই

কাঁচাবাজার করার নামে দেদারসে চলছে আড্ডা। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা

প্রকাশ | ০৭ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
করোনা সংক্রমণ রোধে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সোমবার এভাবেই ঘুরছিলেন সাধারণ মানুষ -যাযাদি
করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে সশস্ত্র বাহিনী ওর্ যাব-পুলিশের টহল থাকায় রাজধানীর রাজপথগুলোতে গণপরিবহণ ও মানুষ কম থাকলেও অনেক অলিগলির অবস্থা এখন রমরমা। কাঁচাবাজার করার নামে দেদারসে চলছে আড্ডা। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা। অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরা ও আড্ডাও চলছে সমানে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি দেখলে এই আড্ডাবাজরা চোর-পুলিশ খেলায় মাতে। এক গলি দিয়ে পুলিশ ঢুকতে দেখলে তারা অন্য গলিতে চলে যায়। সোমবার এবং এর আগের কয়েকদিন রাজধানীর বিভিন্ন মহলস্নার অলিগলি ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। সোমবার সকালে রাজধানীর উত্তর বাড্ডার সাঁতারকুল রোড ছিল লোকে লোকারণ্য। সেখানে কয়েকজনকে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ওই রোডে এভাবে চলছিল বেচাকেনা। এলাকাবাসী জানান, মাঝে মাঝে পুলিশ এলেও কাজ হয় না। রাস্তার লোকজন চোর-পুলিশ খেলায় মাতে। ওই এলাকার ৩৮ নম্বর কাউন্সিলর অফিস ও মদিনা ম্যানশনের গেটে সাহায্যের জন্য অনেক নারীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সেখানে বাজার করতে যাওয়া সালেহা বেগম বলেন, 'প্রত্যেক দিন আমি বাজার করতে আসি। সকাল থেকে দুপুর পর্যস্ত এমন ভিড় থাকে।' রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকার কয়েকটি গলি ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে উঠতি বয়সী অনেক কিশোর-তরুণ এক সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছে। তবে প্রতিবেদকের সঙ্গে কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি। সকালে মহাখালীর টিবি গেটের অলিগলিতেও কাঁচাবাজার ঘিরে ব্যাপক লোক সমাগম দেখা গেছে। সেখানে অধিকাংশের মুখেই মাস্ক ছিল না। করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিশেষজ্ঞরা সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন, বলছেন সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা। এই স্বাস্থ্যবিধি জনগণকে মানানোর জন্য সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা পর্যন্ত করেছে। কিন্তু তবু হেয়ালি লোকজনকে যত্রতত্র আড্ডা দিতে দেখা যাচ্ছে দেশের সর্বত্র। সে জন্য সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এই আড্ডাবাজি বন্ধ করা না গেলে করোনার বিস্তার ঠেকানো একেবারেই কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।