চারুকলায় পিপিই বানাতে ব্যস্ত শিক্ষকরা

প্রকাশ | ০৭ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
'চারুকলার শিক্ষার্থীরা এখন দারুণ ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ আঁকছেন সরা, কেউ বানাচ্ছেন মুখোশ।' এই সংবাদের শুরুটা এমনই হতে পারত। কারণ, পহেলা বৈশাখের বাকি আর মাত্র এক সপ্তাহ। প্রতিবছর এই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের চিত্রটি থাকে এমনই। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে এবার হচ্ছে না মঙ্গল শোভাযাত্রা। ফলে বানানো হচ্ছে না কোনকিছুই। এ সময় চিকিৎসাসেবার সঙ্গে সম্পৃক্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন অনুষদের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষকরা। তারা বিধি মেনে বানাচ্ছেন পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট বা পিপিই। যা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) দেয়া হবে। এ বিষয়ে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় চারুশিল্পীরা কিন্তু শুধুমাত্র রংতুলি হাতে যুদ্ধে ছিলেন না। তাদের কেউ অস্ত্র ধরেছেন, কেউ ত্রাণ সংগ্রহের জন্য ছুটে বেরিয়েছেন। এখন আমাদের সেই অবস্থা। আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। যার জন্য চিকিৎসকদের পিপিই দেয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের কাজ শুরু করেছি। প্রাথমিকভাবে আমরা সাড়ে তিন হাজার পিপিই বানাব। ইতোমধ্যেই দেড় হাজার পিপিই বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষকে আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের ছোট ছেলে প্রকৌশলী ময়নুল আবেদীনের পরিকল্পনায় হচ্ছে এই কাজটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, পিপিইগুলো তৈরি করা হচ্ছে। নিসার হোসেন বলেন, এই পিপিইগুলো বারবার ব্যবহার করা যাবে। আমরা হু'র নির্দেশনা অনুযায়ী পিপিইগুলো তৈরি করেছি। যার জন্য বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহানা আখতার রহমান ও আইসিইউ বিভাগের প্রধান খন্দকার মানজারে শামীমের পরামর্শ নিয়েছি। নিয়েছি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদনও। জানা যায়, চারুকলা অনুষদের এই শুভ উদ্যোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অনেক শিল্পী। যাদের মধ্যে রয়েছে শিল্পী রফিকুন নবী, সৈয়দ আবুল বারক্‌ আলভী, মোহাম্মদ ইউনূস, লালারুখ সেলিম, নাঈমা হক, কাজী গিয়াসউদ্দিন, মোস্তাফিজুল হক, শিশির ভট্টাচার্য, শেখ আফজাল হোসেন, আহমেদ শামসুদ্দোহা, অনুপম হুদা, বিশ্বজিৎ গোস্বামী প্রমুখ।