ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে শবেবরাত পালিত

প্রকাশ | ১১ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
করোনা সংকটে সারাদেশে মসজিদে সীমিত আকারে জুমার নামাজ আদায়ের সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে অতিরিক্ত জনসমাগম ঠেকাতে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় -যাযাদি
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সৌভাগ্যের রজনী পবিত্র শবেবরাত পালিত হয়েছে। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সংকটকালীন অবস্থায় মসজিদে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত হওয়ায় রাজধানীসহ সারাদেশেই ধর্মপ্রাণ মুসলিস্নরা ঘরে বসেই নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকারসহ অন্যান্য ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করেন। একই সঙ্গে করোনাভাইরাসের মহামারির আক্রমণ থেকে প্রিয় মাতৃভূমি, মুসলিম উম্মাহ ও বিশ্ববাসীকে সুরক্ষা ও নিরাপদ রাখার বিষয়ে মহান আলস্নাহর দরবারে বিশেষ দোয়া করা হয়। হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ শবেবরাত বা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এ রাতটি 'লাইলাতুল বরাত' হিসেবে পরিচিত। মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশ্বের মুসলমানরা বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া করেন। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের মুসলমান কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ ও বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য রাতে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল ছিলেন। এ উপলক্ষে ধর্মপ্রাণ নারী-পুরুষরা নফল রোজাও পালন করেছেন। রাতব্যাপী ইবাদত-বন্দেগি, জিকির ছাড়াও এই পবিত্র রাতে মুসলমানরা মৃত পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনসহ প্রিয়জনদের জন্যও করেছেন দোয়া। তবে নিষেধাজ্ঞা থাকায় প্রতি বছরের মতো এবার শবেবরাতের রাতে কেউ প্রিয়জনদের কবর জিয়ারত করতে স্বশরীরে কবরস্থানে যাননি। এদিকে, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্দেশনা মেনে মুসলিস্নরা মসজিদে না যাওয়ায় সেখানে কোনো জনসমাগম দেখা যায়নি। তবে পুরান ঢাকার কলতাবাজার এলাকায় তিনটি মসজিদে নিয়ন্ত্রিত মুসলিস্ন চোখে পড়েছে। প্রতিবছর শিশু-যুবকরা এই রাতে রাস্তায় দল বেঁধে ঘুরে বেড়ালেও এবার চিত্র ছিল ভিন্ন। বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন করায় আতঙ্কিত সবাই। তবে কিছু পাড়া-মহলস্নার মোড়ে শিশু-কিশোর-তরুণদের জটলা দেখা গেছে।