চট্টগ্রামে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা লুট করল মালবাহী গাড়ি

প্রকাশ | ১৯ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ফলের কার্টন
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে চলমান লকডাউনে ঘরবন্দি মানুষকে আর মানানো যাচ্ছে না। অভাবে হিতাহিত জ্ঞান হারানো শ্রমিকরা বকেয়া বেতন ও ত্রাণের দাবিতে সড়কে নেমে লুট করেছে মালবাহী গাড়ি। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার সেন্টমার্টিন হোটেলের সামনে প্রধান সড়কে এ ঘটনা ঘটে। পরে অবশ্য পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার সকাল থেকেই আগ্রাবাদের প্রধান সড়কে নেমে কয়েকশ শ্রমিক বকেয়া বেতন ও ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন। ওই সড়ক দিয়ে যাওয়া মালবাহী একটি গাড়ি থেকে কয়েক বস্তা চাল ও কয়েক কার্টন ফল নিচে নামিয়ে চলে যায় সড়ক অবরোধকারী শ্রমিকরা। এ সময় গাড়ির চালকও শ্রমিকদের কাছে অসহায় হয়ে পড়েন। ওই সময় অবস্থানরত পুলিশ সদস্যরা শ্রমিকদের থেকে ফলের একটি কার্টন উদ্ধার করলেও বাকিগুলো পারেনি। জানা গেছে, ফ্রাংক গ্রম্নপের একটি পোশাক কারখানার কয়েকশ শ্রমিক মিলে এ সড়ক অবরোধ করেন। করোনাভাইরাসের কারণে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে ওই কারখানাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে গত মাসের বেতন না পাওয়ায় ও ত্রাণের দাবিতে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সদীপ দাশ বলেন, 'শতাধিক শ্রমিক রাস্তায় অবস্থান নেয়। তারা বেতনের দাবিতে মিছিল করে। দ্রম্নত এ বিষয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা আগামী ২৮ এপ্রিল বেতন-ভাতা প্রদান করার অঙ্গীকার করে। পরে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়।' চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (পিআর) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, 'ফ্রাংক গ্রম্নপের একটি কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতন ও ত্রাণের দাবিতে আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার সেন্টমার্টিন হোটেলের সামনে প্রধান সড়ক অবরোধ করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে।' এদিকে বেলা ১১টার দিকে নগরের হালিশহর বড়পুল এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা চালকরা সড়কে জড়ো হয়ে ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। তাদের বুঝিয়ে আধঘণ্টা পর সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হালিশহর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম। এর আগে গত বুধবারও (১৫ এপ্রিল) নগরের আঁতুরার ডিপো এলাকায় পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। সে সময় বিক্ষোভরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।