করোনা রোধে প্রধানমন্ত্রীকে ওয়ার্কার্স পার্টির স্মারকলিপি

প্রকাশ | ২০ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ, জনগণের জীবনের সুরক্ষা, অর্থনৈতিক দুর্ভোগ লাঘব ও অর্থনৈতিক পুনর্বাসনে জাতীয় ঐক্যের সরকার ও প্রশাসনকে তৃণমূল পর্যন্ত সব দলের অংশগ্রহণ, তত্ত্বাবধান ও সহায়তা নিশ্চিতকরণের প্রশাসনিক নির্দেশ প্রদান ও ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। রোববার ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন এবং সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা স্বাক্ষরিত এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এতে 'যথোপযুক্ত বিশেষজ্ঞ ব্যক্তির নেতৃত্বে চিকিৎসক, অ্যাপিডোমলজিস্ট, ভাইরোলজিস্ট, মাইক্রো বায়োলজিস্ট, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বিএমএ প্রতিনিধি ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠনের আহ্বান জানানো হয়। এ টাস্কফোর্স সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে জবাবদিহি করবে বলে প্রস্তাব করা হয়।' এতে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্বাস্থ্যবিমা, মৃতু্যজনিত ক্ষতিপূরণ ও অন্যান্য প্রণোদনা দেওয়ার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য পিপিই ও মাস্কসহ সুরক্ষা সামগ্রী, করোনা শনাক্তকরণ ও চিকিৎসায় বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোকে সংযুক্ত করার সুপারিশ করা হয়। স্মারকলিপিতে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমজীবী মানুষদের দুর্ভোগ লাঘবে তাদের জন্য ঘোষিত প্যাকেজের পরিমাণ বৃদ্ধি ও তাদের জন্য মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে তিন মাসের জন্য মাসিক ভিত্তিতে ৫ হাজার টাকা নগদ দেওয়া, দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণের জন্য রেশন কার্ড তৈরি এবং তা দেওয়ার দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দেওয়া, কৃষিক্ষেত্রে প্রণোদনা প্যাকেজ ১০ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা, কৃষককে দেওয়া ঋণ কেবল সার্ভিস চার্জ নিয়ে বিনাসুদে দেওয়া, বোরো ধানের মূল্য নিশ্চিত করতে ধান উঠতেই সরকারি ক্রয় কার্যক্রম শুরু ও ক্রয় লক্ষ্যমাত্রা আরো দু'লাখ টনে বৃদ্ধি করা, বর্গাচাষিদের বর্গাসত্ত প্রদান ও নিবন্ধন করা, এনজিও সুদ মওকুফ ও দুর্যোগ চলাকালে সাপ্তাহিক কিস্তি আদায় বন্ধ, খেতমজুরদের নিবন্ধন করা ও তাদের রেশন কার্ড চালু ও বছরে ৪০ দিন কাজের পরিবর্তে ১২০ দিনের কাজের কর্মসূচি চালু, সামাজিক নিরাপত্তায় শহরের অসহায় বিধবাদের অন্তর্ভুক্ত করা এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের বেতনের জন্য বিশেষ অনুদান দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এ স্মারকলিপি কৃষিমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রীসহ সব রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়।