নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় বসছে পিসিআর মেশিন

প্রকাশ | ২০ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জেলা নারায়ণগঞ্জে দ্রম্নত নমুনা পরীক্ষার জন্য পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিন স্থাপনের নির্দেশ এসেছে। করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত শহরের খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই পিসিআর মেশিন স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক ডা. শেখ হাসান ইমাম। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ। সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, হাসপাতালের কোথায় পিসিআর মেশিন বসানো যায়, এর জন্য জায়গা নির্ধারণ করার নির্দেশনা এসেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পিসিআর মেশিন বসানো হবে। সে লক্ষ্যে দ্রম্নত কাজ করতে বলা হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নারীসহ ২৪ জনের মৃতু্য হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, ছয় চিকিৎসকসহ ৩০১ জন। নারায়ণগঞ্জের সিটি মেয়র আইভী রহমানসহ রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক ৪৬টি সংগঠন, জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়, দ্রম্নত করোনাভাইরাস নমুনা পরীক্ষায় পিসিআর মেশিন স্থাপন করার জন্য। গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সে নারায়ণগঞ্জে পিসিআর মেশিন বসানোর জন্য দাবি জানানো হলে দ্রম্নত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে সাজেদা হাসপাতালকে চারটি নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রসহ (আইসিইউ) ৩০ শয্যার আইসোলেশন হাসপাতালে পরিণত করা হয়। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শহরের খানপুরে অবিস্থত ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালকে শুধু করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারণ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেখানে ১০টি আইসিইউসহ ৫০ শয্যার আইসোলেশন হাসপাতাল প্রস্তুত করার কাজ চলছে। এ বিষয়ে জেলার করোনাভাইরাস-বিষয়ক ফোকাল পারসন ও নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, নারায়ণগঞ্জ করোনাভাইরাসের হটস্পটে পরিণত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সব পজিটিভ ও সন্দেহভাজন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের দ্রম্নত চিকিৎসাসেবার আওতায় আনতে হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা বৃদ্ধি ও আরও নতুন হাসপাতাল প্রয়োজন।