৪৮ দিন পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ ফখরুলের

প্রকাশ | ১৩ মে ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
কারামুক্ত হওয়ার ৪৮ দিন পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দলীয় নেতাদের কর্মকান্ডে সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক হয়ে জনগণের পাশে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপি প্রধান। সোমবার রাত ৯টার দিকে মির্জা ফখরুল চেয়ারপারসনের বাসভবন ফিরোজায় যান। সেখান থেকে রাত ১০.২০ মিনিটে বেরিয়ে আসেন। ১ ঘণ্টা ২০ মিনিটের দলের শীর্ষ দুই নেতার বৈঠকে বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয় নানা বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। সাক্ষাৎকারের শুরুতেই খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেওয়ার পাশাপাশি দলের কর্মকান্ড সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন মির্জা ফখরুল। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে সারাদেশে কর্মহীন, দুস্থ মানুষের পাশে দলের নেতাকর্মীদের দাঁড়ানোর বিষয়ে তাকে জানানো হয়। জানা যায়, দলীয় কর্মকান্ড, বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি, দলের পক্ষ থেকে অসহায় নেতাকর্মী ও খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের বিষয়টি চেয়ারপারসনকে অবহিত করেন মির্জা ফখরুল। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি জানার পর করোনাভাইরাস মহামারিতে বিএনপি চেয়ারপারসন উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি পরিস্থিতি মোকাবিলা দলীয় নেতাদের কর্মকান্ডে সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক হয়ে জনগণের পাশে থাকার নির্দেশনা দেন। এ সময় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দেশের করোনা পরিস্থিতি, চিকিৎসা, কৃষি উৎপাদন পর্যবেক্ষণসহ দলের ত্রাণ তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করার জন্য বিএনপি 'জাতীয় করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সেল' গঠনের বিষয়ে তাকে জানানো হয়। পাশাপাশি বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদককে প্রধান করে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করার বিষয়েও তাকে জানানো হয়। এছাড়া দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজধানীসহ সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কর্মহীন ও দুস্থ মানুষকে জরুরি খাদ্য সহযোগিতা প্রদানের নির্দেশনা দিয়ে দলের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের চিঠি দেওয়ার বিষয় তুলে ধরা হয়। প্রসঙ্গত, গত ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি লাভ করেন খালেদা জিয়া। করোনাভাইরাসের কারণে টানা দুই সপ্তাহ হোম কোয়ারেন্টিনে থেকে চিকিৎসা নেন তিনি। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি এখনো হোম কোয়ারেন্টিনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ও রোজা করছেন। এ সময়ের মধ্যে পরিবারের সদস্য ছাড়া আর কারও তার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি ছিল না। মুক্তি পাওয়ার পর দলের মহাসচিব প্রথমবারের মতো তার সঙ্গে দেখা করলেন।