উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

৫০ লাখ পরিবারকে নগদ অর্থ আজ থেকে

মে এবং জুন এই দুই মাসে পরিবারগুলো পাঁচ হাজার করে টাকা পাবে। বিকাশ, নগদ, ক্যাশ, রকেটের মাধ্যমে পরিবারগুলোর কাছে টাকা পৌঁছে যাবে

প্রকাশ | ১৪ মে ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে চলমান অচলাবস্থায় সারাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ দরিদ্র পরিবারকে এককালীন আড়াই হাজার টাকা করে দেবে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সরাসরি নগদ অর্থ প্রেরণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মোবাইল ব্যাংকিং পরিসেবার মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের মোবাইল হিসাবে সরাসরি নগদ অর্থ প্রেরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথম দিন ১০ লাখ পরিবারকে এ অর্থ দেওয়া হবে। এর পরবর্তী চার দিন ৪০ লাখ পরিবারকে এ অর্থ দেওয়া হবে। জানা গেছে, মে এবং জুন এই দুই মাসে ৫০ লাখ পরিবার পাঁচ হাজার করে টাকা পাবে। বিকাশ, নগদ, ক্যাশ, রকেটের মাধ্যমে পরিবারগুলোর কাছে টাকা পৌঁছে যাবে। এজন্য ইতোমধ্যে এক হাজার ২৫৭ কোটি টাকা ছাড় করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সহায়তার এ অর্থ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিনা খরচে প্রত্যেক পরিবারের হাতে ঈদের আগে পৌঁছে দেওয়া হবে। সরকারের এ কাজে সহযোগিতা করবে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সেবাদানকারী চার প্রতিষ্ঠান। এগুলো হলো- বাংলাদেশ ডাক বিভাগের আর্থিক লেনদেন সেবা 'নগদ', ব্র্যাংক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিং 'বিকাশ', ডাচ-বাংলা ব্যাংকের 'রকেট' এবং রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের শিওরক্যাশ। জানা গেছে, উদ্যোগটির সঙ্গে জড়িত রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। আর পরিবার চিহ্নিত করা হয়েছে স্থানীয় সরকার অর্থাৎ জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের সাহায্যে। তালিকায় রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণশ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোলট্রি খামারের শ্রমিক, বাস-ট্রাকসহ পরিবহণ শ্রমিক, হকারসহ নানা পেশার মানুষকে রাখা হয়েছে। সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সহায়তায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী বর্তমানে যেসব সহায়তা পাচ্ছে, এ তালিকায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তালিকার কাজ শেষ করা হয়েছে ৭ মে। অবশ্য এখনো যাচাইয়ের কাজ চলছে।