এক রাতুলের ভেতর থেকে হাজার রাতুল

প্রকাশ | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০

রানা হোসেন
আমার সন্তানদের একটাই দাবি কোটা সংস্কার তোমার বর্বর নিষ্ঠুরতায় সে দাবি আন্দোলনে রূপ নেয় আলোর গতি নিয়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা বাংলায়। তুমি আরও, আরও হিংস্র হয়ে উঠলে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের তুমুল সংঘর্ষ! শিশু, কিশোর, বৃদ্ধ, পথচারী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, পথে পথে অবিচল। 'রাতুল' বয়স তার ষোলো, মস্তিকে সেদিন জ্বলে উঠে ছিল আগুন বুকের ভেতর বারুদ, মিছিলেও শামিল হলো মুষ্টিবদ্ধ কচি হাত তুলে, প্রতিবাদের স্রোতে এগিয়ে গেল। সাভার রোডেও ছিল প্রতিবাদী ছাত্রদের আন্দোলন কিশোর রাতুল আন্দোলনে, সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ, গুলি আর গুলি রাতুলের বুকজুড়ে বুলেট, ছাব্বিশটি রাবার বুলেট যে চোখে দেখেছিল বড় হওয়ার স্বপ্ন আর স্বপ্ন দেখা সে চোখে এখন, রাবার বুলেট, রক্তাক্ত শরীর তার যে কি ঘুরে দাঁড়াবার চেষ্টা! হাসপাতালে যন্ত্রণার সঙ্গে যুদ্ধ করে রাতুল সারারাত। সেই দিনেও আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রী নিহত হয়েছে সংঘষের তুমুল প্রতিবাদী রাজপথ নেমে এসেছে ছোট বড় সবাই। গুলির শব্দ হাসপাতালের দরজা, জানালা ভেদ করে রাতুলের কানে আসে, রাতুল বারবার এদিক ওদিক তাকাতে থাকে শরীরের যন্ত্রণা উপেক্ষা করে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে বাবার কাছে জানতে চায় স্বৈরাচার সরকার কী দাবি মেনে নিয়েছে? রাতুলের বাবা নির্বাক কোনো উত্তর জানা নেই তার, তিনিও নীরবে নিভৃতে কাঁদেন ছেলের ম্স্নান অবস্থা দেখে আর ঘূর্ণা জানায় স্বৈরাচার শাসকের প্রতি। রাতুল এক চোখ চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনি এক রাতুলের ভেতর থেকে হাজার রাতুল রাজপথে রাতুলের বিশ্বাস শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আদায় হবেই একদিন বিজয় আসবেই। সে দিন আর দূরে নয়, পতন হবে নিষ্ঠুর পুলিশের, স্বৈরাচার শাসকের, বিজয় আসবেই ছাত্র-জনতার।