ডাকসু নিবার্চন নিয়ে যা ভাবছে ঢাবি

প্রকাশ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নিবার্চন বন্ধ রয়েছে দীঘর্ ২৮ বছর। চলতি বছর ছয় মাসের মধ্যে ডাকসু নিবার্চন করার জন্য হাইকোটর্ রায় দিয়েছে। কিন্তু দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচাযর্সহ তিনজনকে আদালত অবমাননার অভিযোগে আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোটের্র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ রিটকারী শিক্ষাথীের্দর পক্ষ হয়ে এ নোটিশ পাঠান। এতে বিবাদীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচাযর্ অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আদালতের প্রতি আমাদের সবসময় শ্রদ্ধা রয়েছে। ডাকসু নিবার্চনের কাজ চলমান রয়েছে। তবে এ নিবার্চনের জন্য কিছু বাস্তবতা রয়েছে। আমরা সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে নিবার্চনের ব্যবস্থা করব। ইতোমধ্যে শিক্ষাথীের্দর ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে।’ ডাকসু নিয়ে হাইকোটের্র রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচাযর্ অফিস ৪ এপ্রিল রিসিভ করে। সে অনুযায়ী অক্টোবরের ১০ তারিখের মধ্যে নিবার্চন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে জাতীয় নিবার্চনসহ পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সময় বৃদ্ধির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ আবেদন করেছে। খেঁাজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সভায় ডাকসু নিবার্চনের বিষয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেখানে ২০১৯ সালের মাচের্ নিবার্চন করার প্রস্তাব করা হয়। আর ভোটার তালিকা ও নিবার্চনের নমুনা ফরম তৈরির জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো ডাকসু নিবার্চনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘ডাকসু নিবার্চনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করছি।’ নোটিশের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি ভাবছি।’ ডাকসু নিবার্চনে পদক্ষেপ নিতে ৩১ শিক্ষাথীর্র পক্ষে ২০১২ সালের ১১ মাচর্ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচাযর্, প্রক্টর ও কোষাধ্যক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ দেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। বিশ্ববিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ ওই নোটিশের কোনো জবাব না দেয়ায় একই বছর ২৫ শিক্ষাথীর্র পক্ষে রিট আবেদন করা হয়। এরপর ৮ এপ্রিল হাইকোটর্ নিধাির্রত সময়ের মধ্যে ডাকসু নিবার্চন করার ব্যথর্তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। বিবাদী ছিলেন শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচাযর্, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টর। ওই রুল শুনানি শেষে হাইকোটর্ রায় দেন।