১০ বছরের মধ্যে সাক্ষরতার চিত্র পাল্টে যাবে: গণশিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
আগামী ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ পাল্টে যাবে, দেশের সব মানুষ সাক্ষরতার জ্ঞান নিয়ে নিজেকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত আন্তজাির্তক সাক্ষরতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ‘সাক্ষরতা অজর্ন করি, দক্ষ হয়ে জীবন গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যে এবার সারাদেশে সাক্ষরতা দিবস পালিত হচ্ছে। গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে শিক্ষার সুযোগবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরজ্ঞান, জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবিকায়ন, দক্ষ মানবসম্পদে পরিণতকরণ, আত্ম-কমর্সংস্থানের যোগ্যতা সৃষ্টিকরণ এবং বিদ্যালয় বহিভ‚র্ত ও ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষার বিকল্প সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ২০১৪ সালে উপনুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন প্রণীত হয়েছে। এর ফলে সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বতর্মানে আামাদের সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ। এখনো ২৭ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ নিরক্ষর রয়েছে। তাদের সাক্ষরজ্ঞান ও দক্ষ করে তোলাই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, বতর্মানে সাক্ষরতার চিত্র পাল্টে গেছে। দেশকে এগিয়ে নিতে সরকার সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন শুধু লিখতে-পড়তে পারলেই তাকে সাক্ষরতা বলে না। পড়ালেখার পাশাপাশি তাকে কমর্দক্ষ হলেই তাকে সাক্ষর বলা হচ্ছে। সাক্ষরতার চিত্র আগামী ১০ বছরের মধ্যে পাল্টে যাবে। সাক্ষরতা মানে একজন শিক্ষিত ও দক্ষ ব্যক্তিকে বোঝাবে। আজকের যারা শিশু, আগামীতে তারাই এ চিত্র পাল্টে দিবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষাবিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন। তিনি বলেন, দেশের একটি অংশ নিরক্ষর থাকবে এটি ভেবেই বঙ্গবন্ধু গণসাক্ষরতা কাযর্ক্রম শুরু করলেও এটি যে গতিতে চলছে তা সঠিক নয়। শুধু যোগ বিয়োগ, সাক্ষর করা আর পেপার পড়তে পারাই সাক্ষরতার মূল উদ্দেশ্য নয়। সাক্ষরতার জ্ঞান নিয়ে যেন তাদের কমর্সংস্থান তৈরি হয় সেটিই ছিল এর মূল লক্ষ্য। অথচ তা আজ স্থবির হয়ে পড়েছে। আজও দেশে শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন হয়নি। মোতাহার হোসেন আরও বলেন, সমাপনী-ইবদায়ি ও জেএসসি-জেডিস পরীক্ষা আয়োজন নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষানীতির আলোকে ২০১৮ সাল থেকে শুধু ৮ম শ্রেণিতে পাবলিক পরীক্ষা আয়োজন করার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। প্রাথমিক পযাের্য় কোয়ালিটি শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।