ত্রিপুরা কিশোরী ধষের্ণর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি

প্রকাশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
বান্দরবানের লামায় দুই ত্রিপুরা কিশোরী ধষের্ণর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার দাবি করেছেন নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তারা অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। দুই কিশোরী ধষের্ণর ঘটনায় কয়েকটি নারী ও মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিরা সম্প্রতি লামায় যান। মঙ্গলবার ঢাকা রিপোটার্সর্ ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের পরিদশের্নর ওপর ভিত্তি করে করা প্রতিবেদন তুলে ধরেন। আর সেখানেই এই দাবি উঠে আসে। গত ২২ আগস্ট রাতে লামার ৩ নম্বর ফঁাসিয়াখালী ইউনিয়নের রাংগতিপাড়ায় একটি সেগুনবাগানে দুই ত্রিপুরা কিশোরীকে ধষের্ণর অভিযোগ পাওয়া যায়। ওই দিন রাতেই ধষের্ণর শিকার দুজনের একজন লামা থানায় একটি মামলা করে। ধষের্ণর ঘটনা জানার পর আট সংগঠনের প্রতিনিধিরা সম্প্রতি লামায় যান। সংগঠনগুলো হলো: মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বøাস্ট, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ, জনউদ্যোগ, কাপেং ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়াকর্। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পরিদশর্ন দলের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরা হয়। বলা হয়, ‘লামা থানার ওসির ভাষ্যমতে, অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে জনেরুং ত্রিপুরা নামের ঘটনার সহযোগী একজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও মামলার মূল আসামিদের এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও আইনের ব্যত্যয় বলে বিবেচনা করা যেতে পারে।’ অবশ্য লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কতার্ (ওসি) অপ্পেলা রাজু নাহা মঙ্গলবার মুঠোফোনে বলেন, ‘চারজনকে অভিযুক্ত করে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে বিজিবির দুই সদস্য আছেন। নিয়ম মেনেই আইনি প্রক্রিয়া চলছে।’ সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিভিন্ন এলাকা পরিদশর্ন করলেও পরিদশর্নকারীদের ধষের্ণর শিকার ও তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার জন্য এলাকায় যেতে দেয়া হয়নি। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘আমাদের টিম ভিকটিম (ধষের্ণর শিকার ) ও তাদের পরিবার এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে সাক্ষাতের প্রস্তুতি নেয়। সেই সময় লামা উপজেলা নিবার্হী কমর্কতার্ (ইউএনও) ফোনে লামার সেই মুহূতের্র একটি সংকটের কথা উল্লেখ করে ভিকটিমের এলাকায় না যাওয়ার পরামশর্ দেন। তিনি তার দপ্তরে চায়ের আমন্ত্রণ দেন। তিনি পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন। পরিবেশ শান্ত হলে আবার লামায় যাওয়ার পরামশর্ দেন।