বাংলাদেশে সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও বাড়াবে ভারত : পলক

প্রকাশ | ২৫ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
জুনাইদ আহমেদ পলক
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস পেয়েছে উলেস্নখ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে আইসিটি সেক্টরে ভারতের বিনিয়োগ বেড়েছে। ভারত বাংলাদেশে তাদের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত করবে বলে আমরা আশাবাদী। মঙ্গলবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মত ব্যক্ত করেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। হাইকমিশনার দুই দেশের অত্যন্ত উন্নত সম্পর্ক আরও দৃঢ়করণ এবং আইসিটি সেক্টরসহ অন্যান্য খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি অদূর-ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের অসামান্য অবদান কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। মোদির সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন অমীমাংসিত সমস্যার দ্রম্নত নিষ্পত্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও প্রসারিত হয়েছে বলে তিনি উলেস্নখ করেন। পলক বলেন, বর্তমানে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস পেয়েছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে আইসিটি সেক্টরে ভারতের বিনিয়োগ বেড়েছে। বর্তমানে দেশের ১২টি জেলায় হাইটেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পে ভারত সরকার অর্থায়ন করছে। বাংলাদেশ-ভারত আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের লক্ষ্যে আরেকটি প্রকল্প চূড়ান্ত হওয়ার পর্যায়ে রয়েছে। অদূর-ভবিষ্যতে ভারত বাংলাদেশে তাদের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত করবে বলে আমরা আশাবাদী। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উলেস্নখ্য, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়নাধীন জেলা পর্যায়ে আইটি/হাইটেক পার্ক স্থাপন (১২টি জেলায়) প্রকল্পের আওতায় ৩০ হাজার তরুণ-তরুণীকে আইটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হবে।