মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৯৭৫ জন নারী। সেই হিসাবে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ১০৮ নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গতকাল (মঙ্গলবার) নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং সকল প্রকার যৌন সহিংসতা বন্ধের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় নারী নিরাপত্তা জোট ও আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট।
সংগঠন দুটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমনের জন্য ৯ দফা দাবি জানিয়েছে। দাবিগুলো হলো- নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করা, বিচার চলাকালে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশু এবং তাদের পরিবারের নিরাপত্তা, চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ, ধর্ষণ, যৌন সহিংসতা, নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ ইত্যাদি। দাবি আদায়ে তারা আজ (বুধবার) ৪০ জেলায় একযোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে এবং মানববন্ধন শেষে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেবে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব তথ্য তুলে ধরেন আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোটের নির্বাহী সমন্বয়কারী জিনাত আরা হক। সংবাদ সম্মেলনে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গত কয়েক বছরে নারী ও শিশুর ওপর ধর্ষণ এবং যৌন সহিংসতার প্রকোপ বেড়ে গেছে। ৮টি পত্রিকার তথ্যানুসারে, গত জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত ৯ মাসেই ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৯৭৫ জন নারী, যার মধ্যে ২০৮টি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ প্রতি মাসে প্রায় ১০৮ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। শিশু নির্যাতন ও হত্যার গত ৯ মাসের পরিসংখ্যানও অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৬২৭ জন ও বলাৎকারের শিকার হয়েছে ২০ শিশু।
\হ১ হাজার ৭৮ শিশু শারীরিক নির্যাতনসহ নানা সহিংসতার শিকারসহ হত্যার শিকার হয়েছে ৪৪৫ শিশু। পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৪৩২ জন নারী। এর মধ্যে হত্যার শিকার হন ২৭৯ নারী এবং পারিবারিক নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৭৪ নারী।
Google News ফিড অনসরণ করুন
