আজকের যায়যায়দিন

কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে অবস্থানরত জোরপূর্বক বাস্তুচু্যত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের আগামী ৩-৪ ডিসেম্বর কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর শুরু হচ্ছে।

স্থানান্তর কার্যক্রমে সেখানকার চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থাপনা সরেজমিনে পরিদর্শন ও মনিটরিংয়ের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঁচ সদস্যের একটি পরিদর্শন ও মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে।

অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. ফরিদউদ্দিন মিঞাকে দলনেতা ও নোয়াখালীর সিভিল সার্জনকে ফোকাল পার্সন করে এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর সিবিএইচসি (কমিউনিটি বেইজড হেলথ ক্লিনিক), চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ও ফেনীর সিভিল সার্জন।

গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ড. শেখ মোহাম্মদ হাসান ইমাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটির সদস্যরা ভাসানচরে উপস্থিত থেকে সেখানে স্থাপিত হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো পরিদর্শন করবেন এবং রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এছাড়া বাস্তুচু্যত মিয়ানমারের নাগরিকদের কক্সবাজার থেকে নোয়াখালী জেলার ভাসানচরে স্থানান্তরের স্বাভাবিক কার্যক্রম মনিটর করবেন।

আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ / জিয়া মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর ছিলেন

অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. ফরিদ উদ্দিন মিঞা রোববার জানান, কক্সবাজারের রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচরে ২০ শয্যার একটি হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। মূলত চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক এসব দেখভাল করছেন। আগামী ৩-৪ ডিসেম্বর থেকে তাদের সেখানে স্থানান্তর করা হবে বলে তাদের জানানো হয়েছে। সেখানে তাদের সু-চিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা রয়েছে কি না তা দেখতে তারা সেখানে যাবেন।

তিনি আরও জানান, রোববার মিয়ানমারের নাগরিকদের ভাসানচরে স্থানান্তর শুরু হওয়ার কথা ছিল। তারা চিঠিও পেয়েছিলেন কিন্তু পরবর্তীতে আরেকটি চিঠি দিয়ে আগামী ৩-৪ ডিসেম্বরের কথা বলা হয়েছে।