মিজার্ ফখরুলকে নাসিম

বিদেশে ঘোরাঘুরি করে কোনো লাভ হবে না

প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোটার্সর্ ইউনিটিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম -ফোকাস বাংলা
যুক্তরাষ্ট্রে সফররত বিএনপির মহাসচিব মিজার্ ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, অহেতুক বিদেশে ঘোরাঘুরি করে কোনো লাভ হবে না। নিবার্চন হবেই। রেজাল্ট যা হয়, আমরা মেনে নেব। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নিবার্চন হবে। প্রশাসন যখন আছে, মিডিয়া যখন আছে, বিদেশি পযের্বক্ষকও আসবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেছেন, এ দেশে নিবার্চন পযের্বক্ষণ করতে যার ইচ্ছা আসুক। কোনো অসুবিধা নেই। বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোটার্সর্ ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংগঠনটির সাবেক সভাপতি মোস্তাক হোসেনের স্মরণে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সামনে নিবার্চন আসছে। নিবার্চনকে কেন্দ্র করে দেশে অহেতুক, অপ্রয়োজনীয়ভাবে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। কেন কী কারণে? নিবার্চন এখন ঘরের দুয়ারে এসে কড়া নাড়ছে। এখানে জাতীয় নিবার্চনের বিকল্প তো কিছু হতে পারে না। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘আমরা যারা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই, তাদের সামনে তো কোনো বিকল্প নাই। আমাদের অনেক অভিজ্ঞতা অতীতে হয়েছে। সামরিক শাসন বারবার এসেছে। অবৈধ শাসন এসেছে বাংলাদেশে। ওয়ান-ইলেভেনের মতো একটি আধাসামরিক শাসনও এসেছে এ দেশে। অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে। কেউ কিছু দিতে পারেনি।’ বাংলাদেশের সব অজর্ন গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাতির জনককে হারানোর পর এ দেশে যেটুকু ভালো তা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাই দিয়েছে। অন্য কোনো পথে আসে নাই। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ভুলত্রæটি থাকতে পারে। পলিটিক্যাল গভনের্মন্টের ভুলত্রুটি হতে পারে। কিন্তু সমস্ত অজর্ন এই পলিটিক্যাল গভনের্মন্ট এনেছে। তাহলে কেন, কী কারণে উত্তেজনা সৃষ্টি করে নিবার্চনের পথকে বন্ধ করে দেব?’ তিনি বলেন, এই নিবার্চনের মাঠে যত বেশি দল আসবে আসুক, আমরা তাদের স্বাগত জানাই। নিবার্চন কমিশন নিবার্চন পরিচালনা করবে। আজকে তথ্যপ্রযুক্তির যুগ, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার যুগ, কেউ কোথাও কিছু করে ফেলতে পারবে না। এক সেকেন্ডে সমস্ত খবর সবার কাছে চলে যাবে। তাহলে কেন আমরা নিজেরা এ হুমকিগুলো দেব, এরা ছাড়া নিবার্চন করতে দেয়া হবে না। ‘আপনি যদি ইলেকশন করতে না চান, ভালো কথা। এর খেসারত আপনাকে দিতে হবে। একবার তো খেসারত দিয়েছেন, আবার দিতে হবে। কিন্তু ইলেকশন বাদ দিয়ে, ইলেকশন ঠেকিয়ে কোনো লাভ হবে না। এ দেশে কেউ কোনোদিন ইলেকশন ঠেকাতে পারেনি। ১৯৭০ সালেও বড় বড় নেতা ¯েøাগান দিয়েছিল, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর দৃঢ় প্রতিজ্ঞার কারণে এ দেশে নিবার্চন হয়েছিল। সুতরাং ইলেকশন কেউ ঠেকাতে পারবে না’Ñবলেন মোহাম্মদ নাসিম। বড় দলগুলো নিবার্চনের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইলেকশন দেশে হবেই এবং বড় দলগুলো ইলেকশনের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছে। মুখে যে যত কথাই বলুক, বড় দলগুলো মাঠে-ময়দানে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি এক জায়গা থেকে বারবার নিবাির্চত হই। সেখানেও আমার বিরুদ্ধে কম্পিটিশন শুরু হয়ে গেছে। ভেতরে সবাই প্রস্তুত হচ্ছে, আর বাইরে ফঁাকা আওয়াজ দিচ্ছে। এ আওয়াজ দিচ্ছে, যাতে কিছু আদায় করা যায় কি না। নাসিম আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ১০ বছর ধরে দেশ পরিচালনা করছি। শেখ হাসিনা সাহসের সঙ্গে অনেক সংকট উত্তরণ করেছেন। নিবার্চনে যদি কোনো সংকট আসে, সেটাও আমরা অতিক্রম করতে পারব। আমরা বিশ্বাস করি, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো জয়লাভ করবে। তবে আমরা চাই, নিবার্চনে সবাই অংশগ্রহণ করুক। কোনোভাবে আমরা নিবার্চনকে প্রভাবিত হতে দেব না, কেউ প্রভাবিত করবে না।