শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
দেশের সড়ক-মহাসড়কে নভেম্বর মাসে ৪৪৩টি দুর্ঘটনায় ৪৮৬ জন নিহত ও ৭৭৪ জন আহত হয়েছেন। একই সময় রেলপথে ৫০টি দুর্ঘটনায় ৫২ জন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে ছয়টি দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত ও ২০ জন আহত এবং চারজন নিখোঁজের সংবাদ পাওয়া গেছে।
সড়ক, রেল ও নৌপথে সম্মিলিতভাবে ৪৯৯টি দুর্ঘটনায় ৫৪১ জন নিহত ও ৭৭৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। দেশের জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক এবং অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বুধবার সংগঠনটি এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
নভেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের মধ্যে ২০৩ জন চালক, ১৫৫ জন পথচারী, ৯৪ জন নারী, ৪৯ জন শিশু, ৪২ জন পরিবহণ শ্রমিক, ৩৩ জন শিক্ষার্থী, ১৬ জন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ১০ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে একজন আনসার, নয়জন পুলিশ সদস্য, আটজন শিক্ষক, পাঁচজন বিচারক, তিনজন চিকিৎসক এবং তিনজন সাংবাদিকের পরিচয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে।
এর মধ্যে নিহত হয়েছেন ১৫৭ জন চালক, ১৩৯ জন পথচারী, ৭২ জন নারী, ৩২ জন শিশু, ২৫ জন পরিবহণ শ্রমিক, ২৫ জন ছাত্রছাত্রী, ১৪ জন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, আটজন শিক্ষক, তিনজন চিকিৎসক, পাঁচজন পুলিশ ও একজন আনসার বাহিনীর সদস্য।
এইমাসে সংগঠিত দুর্ঘটনায় ২৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান, ২৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৩ দশমিক ১৪ শতাংশ বাস, ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ নছিমন-করিমন, নয় দশমিক ৯৩ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, নয় দশমিক ২৯ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক এবং চার দশমিক ৩২ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
এ মাসে একদিনে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় ১৯ নভেম্বর। এ দিন ২০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত ২৩ জন আহত হয়। একদিনে সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় ২৩ নভেম্বর, এ দিন নয়টি সড়ক দুর্ঘটনায় আটজন নিহত, ১৪ জন আহত হয়।
মোট দুর্ঘটনার ৫৫ দশমিক আট শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২২ দশমিক ৫৭ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ খাদে পড়ে, ছয় দশমিক ৫৫ শতাংশ বিবিধ কারণে, শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষ এবং শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে।
পরিসংখ্যানে দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এইমাসে মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৫১ দশমিক এক শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২২ দশমিক ৫৭ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২১ দশমিক ৮৯ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়। এছাড়াও সারাদেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার দুই দশমিক ৪৮ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, এক দশমিক ১৩ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়।
Google News ফিড অনসরণ করুন
