ফলমূল-শাকসবজি মাছ বিষমুক্ত করতে কাবর্ন গ্রিন

প্রকাশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
ফলমূল, শাকসবজি ও মাছ থেকে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূণর্ বিষাক্ত রাসায়নিক দূর করতে সক্রিয় কাবের্নর সঠিক অনুপাতের মিশ্রণ কাযর্কর ভূমিকা পালন করে। ‘কাবর্ন গ্রিন’ নামে এরকমই একটি পণ্য বতর্মানে বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে। পাউডার জাতীয় এ পদাথর্ পানিতে মিশিয়ে মাছ, ফলমূল বা শাকসবজি ধুয়ে ফেললেই তা খাওয়ার জন্য নিরাপদ। শুক্রবার রাজধানীর একটি ইংরেজি দৈনিক ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের এমন সব তথ্য জানায় লাইফ অ্যান্ড হেলথ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ডা. শক্তি রঞ্জন পাল। ডা. শক্তি রঞ্জন পাল সাংবাদিকদের বলেন, বেশি ফলনের জন্য জমিতে দেয়া হয় কীটনাশক এবং খাবার সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, গত ১০ থেকে ১২ বছরে বাংলাদেশে কীটনাশকের ব্যবহার ৩২৮ শতাংশ বেড়েছে। ‘এসব কীটনাশক ও রাসায়নিকের কারণে ক্যান্সার, হঁাপানি, ডায়াবেটিস, ক্রনিক ব্রংকাইটিস, গভর্পাত, অ্যান্ডোমেট্রিওসিস, জন্মগত ত্রুটি, হৃদরোগ, ফুসফুসজনিত রোগ, অটিজম, আলজেইমারসহ পুরুষদের যৌন ক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি হয়’। কাবর্ন গ্রিনের কাযর্কারিতা সম্পকের্ তিনি বলেন, ফলমূল ও শাকসবজি উপরিভাগে লেগে থাকা বিষাক্ত পদাথের্র ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ মুক্ত হয় কাবর্ন গ্রিনের মাধ্যমে। অন্যদিকে লবণ-পানি, ভিনেগার কিংবা পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট ব্যবহারে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পযর্ন্ত কাযর্কারিতা পাওয়া যায়, যা খাওয়ার জন্য নিরাপদ নয়। কাবর্ন গ্রিন ব্যবহারবিধি সম্পকের্ তিনি বলেন, ৮ গ্রামের এক প্যাকেট কাবর্ন গ্রিন পাউডার দিয়ে ১০ কেজি শাকসবজি, ফলমূল ও মাছ ধোয়া যাবে। তবে খাদ্যদ্রব্যের ভেতরে প্রবেশ করা বিষাক্ত রাসায়নিক এতে দূর হবে না। কেবল বাইরের খোসায় লেগে থাকা অংশ পরিষ্কার করা যাবে। কাবর্ন গ্রিন দিয়ে পরিষ্কার করা খাবার দু-তিন দিনের মধ্যে খেয়ে ফেলতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা কাবর্ন গ্রিন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও গবেষণা পরিষদ দ্বারা পরীক্ষিত এবং বিএসটিআই অনুমোদিত। এ ধরনের পণ্য থাইল্যান্ডে অহরহ ব্যবহার হচ্ছে। ডা. শক্তি রঞ্জন পালের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন লাইফ অ্যান্ড হেলথ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. নীলাঞ্জন সেন, ডা এনামুল হক, আনোয়ার রাসেল, মাহমুদ খান, শামসুল আরেফিন প্রমুখ।