৯ বছরে ২৬৬ কোটি বই বিনামূল্যে বিতরণ

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
জাতীয় প্রেসক্লাবে শনিবার এক সেমিনারে বক্তৃতা করেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ -যাযাদি
শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন, বতর্মান সরকার সময় মতো ভতির্, পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশ করছে। নিয়মিতভাবে ১ জানুয়ারি শিক্ষাথীের্দর হাতে বই পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। বিগত নয় বছরে প্রায় ২৬৬ কোটি বই বিনামূল্যে শিক্ষাথীের্দর মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা জানান। শিক্ষা দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা :বাস্তবায়নে গতি প্রকৃতি’ শীষর্ক এ সেমিনারের আয়োজন করে আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটি। এতে সভপতিত্ব করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচাযর্ প্রফেসর আবদুল খালেক। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বিগত নয় বছরে সরকার ২৬৫ লাখ ৯৯ হাজার বই বিনামূল্যে বিতরণ করেছে। আর এ বই পৌঁছে দেয়া হচ্ছে ১ জানুয়ারি। এটা একটি বিশাল কমর্যজ্ঞ। বই বিতরণের এ তথ্যে বিদেশিরাও শুনে অবাক হয়ে যান বলেও জানান তিনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষই কোনো না কোনোভাবে শিক্ষাখাতে জড়িত। বাংলাদেশে এখন ৫ কোটি শিক্ষাথীর্। ২৫ লাখ শিক্ষক শিক্ষা দানে নিয়োজিত। আমরা শিক্ষা প্রসারে অত্যন্ত আন্তরিক। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, ড. কুদরত-ই-খুদা কমিশনের প্রতিবেদনের মূল বিষয় ছিল, শিক্ষা ব্যবস্থা হতে হবে রাষ্ট্রের মূলনীতি, যেমন- গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সঙ্গে সেটি কোনোভাবেই সাংঘষির্ক না হয়, বরং এসব মূলনীতি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তবে আমাদের দুভার্গ্য বঙ্গবন্ধু খুব অল্পই এ প্রতিবেদন বাস্তবায়নের সুযোগ পেয়েছিলেন। পরবতীর্ সময়ে যারাই রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছিলেন তারা এ প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়নে কোনো তোয়াক্কাই করেনি বরং উল্টোটেই করেছেন। সেমিনারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচাযর্ ড. মিজানুর রহমান বলেন, মাদ্রাসায় নানামুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। তবে সরকার থেকে মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য সম্প্রতি ৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় আরও পরিবতর্ন আনা জরুরি। যেসব মাদ্রাসা সরকার থেকে এ অথর্ সহায়তা পাবে, তাদের দুটি শতর্ দেয়া উচিত। এক. তারা যেন মাদ্রাসায় কারিগরি শিক্ষা চালু করে। দুই. তারা যেন আরবিতে কথা বলতে পারে। তাহলে কিছুটা হলেও মাদ্রাসায় উন্নয়ন ঘটবে। সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচাযর্ ড. মুহম্মদ সামাদ, ড. নাসরিন আহমেদ, আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা প্রমুখ।