বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম সহনীয় মাত্রায় বাড়বে

সেমিনারে জ্বালানি উপদেষ্টা

২০৪১ সালে বাংলাদেশে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দরকার হবে। আর সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। নতুন যে সব পাওয়ার প্রজেক্ট হবে তার ৩৫ শতাংশ ফুয়েল এবং ৩৫ শতাংশ হবে গ্যাসভিত্তিক

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোট
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ফোরাম ফর এনাজির্ রিপোটার্সর্ আয়োজিত সেমিনারে অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী -ফোকাস বাংলা
র্ প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, বিদ্যুতের উৎপাদন ও জ্বালানি আমদানির খরচ বাড়ছে। এ কারণে মূল্য সমন্বয় করার জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়বে। তবে তা ধীরে ধীরে এবং জনগণের জন্য সহনীয় মাত্রায়। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ফোরাম ফর এনাজির্ রিপোটার্সর্ আয়োজিত ‘নেট মিটারিং সিস্টেম’ শীষর্ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন জ্বালানি উপদেষ্টা। উপদেষ্টা বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দরকার হবে। আর সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। নতুন যে সব পাওয়ার প্রজেক্ট হবে তার ৩৫ শতাংশ ফুয়েল এবং ৩৫ শতাংশ হবে গ্যাসভিত্তিক। তবে, সরকার সোলার এনাজির্র দিকে বেশি নজর দিচ্ছে। যে সব খালি জায়গা আছে বিশেষ করে কৃষি জমি এবং এয়ারপোটর্ এলাকায় সোলার এনাজির্ বসানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এদিকে, এলপিজির ব্যবহার বাড়ানো এবং এর দাম নিধার্রণের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বলে জানান জ্বালানি উপদেষ্টা। ফোরাম ফর এনাজির্ রিপোটাের্সর্র সভাপতি অরুণ কমর্কারের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য দেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেনসহ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞরা। এতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা তাদের সুপারিশ ও অভিমত তুলে ধরেন। জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য উন্নত সরবরাহ লাইন স্থাপন ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমাদের খরচ বাড়ছে। এ ছাড়া এলএনজি আমদানি শুরু হয়েছে। এতেও জ্বালানি খরচ বাড়ছে। এ ব্যয় সমন্বয়ের জন্য আমাদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়াতে হবে। তবে ধীরে ধীরে জনগণের জন্য সহনীয় মাত্রায় বাড়ানো হবে। তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রের পযাের্য় নিতে হলে আমাদের আরও ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। এর জন্য আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি ভারত ও নেপাল থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। তবে এখন থেকেই আমাদের সোলার এনাজির্র প্রতি আরও উদ্যোগী হতে হবে। নেট মিটারিং সিস্টেমের বিবরণ দিয়ে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই এ পদ্ধতি রয়েছে। আমাদের দেশের উন্মুক্ত স্থানে এবং বাড়ি বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আঙিনায় সৌর প্যানেল স্থাপন করে দিনের বেলায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব। এ প্রকল্প আমরা হাতে নিয়েছি। একজন উদ্যোক্তা যতটা উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করবেন মাস শেষে তার ব্যবহৃত বিদ্যুতের পরিমাণের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, গ্রাহক পযাের্য় সৌর প্যানেল থেকে নেট মিটারিং পদ্ধতিতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ কিনে তা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ পদ্ধতিতে গ্রাহকের বাড়ি, অফিস আঙিনায় বা ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপন করা হবে। তা থেকে দিনের বেলায় ব্যবহারের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। মাস শেষে গ্রাহকের বিদ্যুতের বিলের সঙ্গে তা সমন্বয় হবে। গ্রাহক সরাসরি কোনো অথর্ হাতে পাবে না। তবে সব সময় তা ব্যবহৃত বিদ্যুতের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।