চট্টগ্রাম বন্দর আরও এক ধাপ এগিয়েছে: নৌমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
রোববার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে এক সেমিনারে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানকে ক্রেস্ট প্রদান করেন আয়োজকরা -যাযাদি
লন্ডন ভিত্তিক শিপিংবিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো সংবাদমাধ্যম ‘লয়েডস লিস্টের’ এ বছরের জরিপে বিশ্বের শীষর্ ১০০টি কন্টেইনার পোটের্র মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর আগের বছরের তুলনায় একধাপ এগিয়ে ৭০তম অবস্থানে উঠে আসবে বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। রোববার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) আয়োজিত ‘লজেস্টিক চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড অপারচুনিটি অব বিজনেস’ শীষর্ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান। নৌ-পরিবহনমন্ত্রী বলেন, লয়েডস লিস্টে ২০১২ সালে বিশ্বের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৯৮তম। ২০১৭ সালের তালিকায় এ অবস্থান উঠে এসেছে ৭১ নম্বরে। এ বছরের সাটিির্ফকেট আমরা এখনও পাইনি। তবে যেটুকু জেনেছি এ বছর আমরা আরও একধাপ এগিয়ে ৭০তম অবস্থানে আছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের শতকরা ৯২ ভাগই হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। গত ১০ বছরে চট্টগ্রাম বন্দর ঘুরে দঁাড়িয়েছে। এই বন্দরে কোনো অটোমেশন ব্যবস্থা ছিল না। আমরা আসার পর সমুদ্রে জাহাজের গতিবিধি, নিরাপত্তা দেখার জন্য সিটিএমএস চালু করেছি। ইতোমধ্যে প্রায় দুই শতাধিক ইকুইপমেন্ট এনেছি। কয়েকদিন আগে তিনটি ক্রেন এসেছে। এই মাসের মধ্যে আরও তিনটি আসবে। আশা করি এই বছরের মধ্যে ১০টি ক্রেন আমরা সংগ্রহ করতে পারব। চট্টগ্রাম বন্দরে কোনো শ্রমিক অসন্তোষ নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যে কোনো প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তুষ্টি থাকলে সেই প্রতিষ্ঠানের অ্যাকটিভিটি তেমন একটা হওয়ার কথা নয়। গত ৯ বছরে চট্টগ্রাম বন্দরে কোনো শ্রমিক অসন্তোষ হয়নি। আমরা শ্রমিকদের গ্রহণযোগ্য মজুরি, বোনাস এবং চিকিৎসা সেবার মান বাড়িয়েছি। তারা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। মংলা বন্দরের বিষয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন এ বন্দর ছিল লোকসানে। চার দলীয় জোট সরকারের আমলে এই বন্দরটি সাড়ে ১১ কোটি টাকার মতো লোকসান করেছিল। সেই মংলা বন্দর থেকে ২০১৭ সালে আমরা লাভ করেছি ৭৫ কোটি টাকা।