দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নিবার্চন সম্ভব না

সুজনের গোলটেবিল

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
জাতীয় প্রেসক্লাবে রোববার এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তৃতা করেন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার -যাযাদি
রাজধানীতে এক গোলটেবিল বৈঠকে বিশিষ্টজনরা বলেছেন, শুধু সরকার চাইলেই সুষ্ঠু নিবার্চন সম্ভব। দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নিবার্চন হবে না। তাই সুষ্ঠু নিবার্চনের জন্য একমাত্র দাবি হওয়া উচিত নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নিবার্চন। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ও সুষ্ঠু নিবার্চন শীষর্ক এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। আলোচনা সভায় বক্তারা ইভিএম সংযুক্ত করে আরপিও সংশোধনের সমালোচনা করে বলেন, আইনকে অস্ত্রে পরিণত করার চেষ্টা দেখছেন তারা। সভাপতির বক্তব্যে সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, এ দেশে কোনো নিবার্চন রাজনৈতিক সরকারের আমলে সুষ্ঠু হয়নি। সুতরাং, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নিবার্চন হবে না। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিবার্চন করতে হবে। এটা জোরেশোরে দাবি হওয়া উচিত। সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, তিনি মনে করেন, সরকার চাইলেই শুধু সুষ্ঠু নিবার্চন সম্ভব। এ সময় তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, বতর্মান প্রধান নিবার্চন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা ১৯৯৬ সালে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ছিলেন। ওনার দ্বারা ১৯৯৬-এর ১২ ফেব্রæয়ারির নিবার্চন হয়েছে, আবার ৯৬ সালের জুনের নিবার্চনও হয়েছে। আসলে সরকার চেয়েছিল বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নিবার্চনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূণর্ আইন হলো আরপিও। বতর্মান নিবার্চন কমিশন অনেকগুলো পরিবতের্নর কথা বলছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূণর্ পরিবতর্ন হলো ইভিএম অন্তভুর্ক্ত করা। তিনি বলেন, ‘হলফনামা, আয়-ব্যয়ের হিসাব-নিকাশ, এগুলোয় কণর্পাত নেই, কিন্তু ইভিএমের ব্যাপারে অতি উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। আইনকে অস্ত্রে পরিণত করার প্রচেষ্টা কিনা জানি না।’ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সিআর আবরার, আইনজীবী জ্যোতিমর্য় বড়ুয়া, সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, গণফোরামের কাযর্করী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সুজনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন সুজনের সমন্বয়কারী দিলীপ সরকার।