মহানগরে ও নদীরপাড়ে আর শিল্প-কারখানা নয়

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, আটটি মহানগরসহ গাজীপুর সিটি করপোরেশন এবং নরসিংদীর নদীর পাড়ে বা সিটির ভেতরে আর কোনো ধরনের শিল্প-কারখানা গড়ে উঠতে দেয়া হবে না। যেগুলো গড়ে উঠেছে সেগুলোও ধীরে ধীরে সরিয়ে নিতে হবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ‘নদীর দূষণ রোধ নাব্যতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত টাস্কফোসর্’ ৩৮তম সভা শেষে তিনি সংবাদিকদের এ কথা বলেন। নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, এছাড়া মুন্সীগঞ্জ এলাকায় নদীর তীরে অনেকগুলো সিমেন্ট কারখানা গড়ে উঠেছে। যেগুলো নদী দূষণ করছে। এ কারখানার মালিকদের সঙ্গে বসে নদী দূষণ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তারা যদি আমাদের সিদ্ধান্ত না মানে তারপর আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, ‘নদীর পারে অবৈধভাবে ৯ হাজার ৫০০ স্থাপনা স্থাপিত হয়েছিল সেগুলোকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এছাড়া আমরা সরকারি জমি উদ্ধার করেছি ৫০১ একর। ৫০ কিলোমিটার ওয়াকর্ওয়ে নিমার্ণ কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। আরও একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছি এর মাধ্যমে আরও ১৫০ কিলোমিটার ওয়াকর্ওয়ে নিমার্ণ করব।’ তিনি বলেন, ‘নদীর সীমানা নিধার্রণে ইতোমধ্যে আমরা ৯ হাজার ৫৭৭টি পিলার স্থাপন করেছি। তার মধ্যে ৩ হাজার ৮৫৬টি পিলারে আপত্তি এসেছিল। ১ হাজার ৭৫১টি পিলারের আপত্তি নিষ্পত্তি করেছি।’ ‘আমরা ১০ হাজার ৪০০ পিলার স্থাপন করব। এসব পিলার বেশ শক্তভাবে স্থাপন করা হবে যাতে করে কেউ তুলে ফেলতে না পারে। এর আগের পিলারগুলোর অনেকগুলো অবৈধ দখলদাররা নষ্ট করে দিয়েছে। তাই আমরা বেশ শক্ত করে এসব পিলার স্থাপন করব। এছাড়া ১৯টি নতুন আরসিটি জেটি নিমার্ণ করব। এর ফলে নদী দখলের হাত থেকে রক্ষা পাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশুলিয়া, সিন্নিরটেক ও টঙ্গিতে তিনটি ইকোপাকর্ তৈরি করব। বষার্র সময় আশুলিয়ার রাস্তার পাড় দিয়ে মানুষ বিনোদনের জন্য যেত। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ এবং শ্যামপুরে ইকোপাকর্ নিমার্ণ করার ফলে এখন হাজার হাজার মানুষ সেখানে যায়। নদীর ধারে ২০ কিলোমিটার ওয়াকর্ওয়ে নিমার্ণ করায় সেখানে অনেক মানুষ হঁাটাহঁাটি করে।’