বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

তথ্যপ্রযুক্তি অক্সিজেনের মতো প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে : পলক

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৭ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০
জুনাইদ আহমেদ পলক

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, 'তথ্যপ্রযুক্তি অক্সিজেনের মতো প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। কৃষি, স্বাস্থ্য, ব্যবসা, উদ্ভাবন, প্রাকৃতিক সম্পদ, দক্ষতা, কর্মসংস্থান, অর্থনীতি- প্রত্যেকটা জায়গায় চতুর্থ শিল্প বিপস্নবের যে চ্যালেঞ্জ সেটা মোকাবিলা করতে হলে এবং করোনাকালীন সময়ে আমাদের যে পরিবর্তিত পৃথিবী, তার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হলে তার প্রত্যেকটা সেক্টরে আমাদের আইসিটিকে সম্পৃক্ত করতে হবে।'

'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার ১২ বছর' উপলক্ষে শনিবার সকালে আইসিটি ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে জুনাইদ আহমেদ পলক অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আলোকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১২টি উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, 'অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার আলোকে আমরা যে উদ্যোগগুলো নিয়েছি, সেগুলো হলো- মানসম্মত শিক্ষা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি; গবেষণা ও উদ্ভাবনের পরিবেশ সৃষ্টি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সক্ষমতা বৃদ্ধি; আইসিটি অবকাঠামো তৈরি; বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি; তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্র্যান্ডিং; গ্রামীণ অঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর পরিসেবা।'

এই পরিকল্পনা সামনে রেখে আইসিটি বিভাগের সেই ১২টি উদ্যোগ হলো- সেন্টার অব এক্সিলেন্স, এজেন্সি টু ইনোভেট, স্টাবলিশিং ডিজিটাল কানেকটিভিটি, শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, ডিজিটাল লিডারশিপ একাডেমি, এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি প্রজেক্ট, ইন্টার অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন পস্নাটফর্ম, সাইবার সিকিউরিটি হেল্প ডেস্ক, ওপেন ডেটা অ্যানালিটিক্স পস্নাটফর্ম (জনতার সরকার), ভার্চুয়াল কোর্ট, ন্যাশনাল ডিজিটাল হেলথ, ন্যাশনাল ডিজিটাল লাইব্রেরি।

তিনি জানান, একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও সারা দেশের ১২টি হাইটেক পার্কে সেন্টার অব এক্সিলেন্স স্থাপন করা হবে। এজেন্সি টু ইনোভেট স্থাপনের জন্য আইনের খসড়া পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে তা মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য পাঠাবে আইসিটি বিভাগ।

স্টাবলিশিং ডিজিটাল কানেকটিভিটি প্রকল্পের আওতায় ২০২৫ সালের মধ্যে গ্রামপর্যায় পর্যন্ত এক লাখ ১০ হাজার সংযোগ স্থাপন করা হবে।

মাদারীপুরের শিবচরে 'শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি' স্থাপন করার প্রকল্প প্রায় শেষ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলেই এটির কার্যক্রম শুরু হবে।

এছাড়া অন্যান্য উদ্যোগগুলোর সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কেও সাংবাদিকদের জানান প্রতিমন্ত্রী পলক।

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল- বিসিসি বাস্তবায়ন করছে এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি প্রজেক্ট।

বাংলাদেশের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল কার্যক্রম ইন্টার অপারেবল করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইসিটি বিভাগের ইনোভেশন ডিজাইন ও এন্টারপ্রেনারশিপ একাডেমি বাস্তবায়ন করবে 'ইন্টার অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন পস্ন্যাটফর্ম।

সাইবার সিকিউরিটি হেল্প ডেস্ক-১০৪ সম্পর্কে পলক জানান, এর পরীক্ষামূলক কাজ চলছে এখন। জরুরি সেবা ৩৩৩- এর সঙ্গে সমন্বয় করে '১০৪' সেবা চালু করতে কাজ করছে আইসিটি বিভাগ; যেন '৩৩৩' নাম্বারে কল করেও কেউ সাইবার অপরাধের প্রতিকার পেতে পারে।

আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স, ন্যাশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং- এনএলপি, বিগ ডেটা অ্যানালিটিক্সের সমন্বয়ে তৈরি হচ্ছে 'ওপেন ডেটা অ্যানালিটিক্স পস্ন্যাটফর্ম (জনতার সরকার)'। এই পস্ন্যাটফর্মের বেটা ভার্সনের কাজ চলছে। এই পস্ন্যাটফর্ম উন্মুক্ত হলে নাগরিকদের পাশাপাশি সেবা পাবেন নীতিনির্ধারকরাও।

ভার্চুয়াল কোর্টের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ ২০২১-২২ সাল মেয়াদে শেষ হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে আইনি কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে ভার্চুয়াল কোর্টে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে আইসিটি বিভাগের।

সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোর রোগী ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার কাজ ডিজিটাল পস্ন্যাটফর্মে নিয়ে আসতে শুরু হচ্ছে ন্যাশনাল ডিজিটাল হেলথ কার্যক্রম। সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে শুরু হচ্ছে এই প্রকল্প। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল-বিসিসি ও এটুআই যৌথভাবে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে। প্রথম পর্যায়ে ৫০টি উপজেলা, ১০টি জেলা ও পরে সারাদেশে এ প্রকল্প শুরু করা হবে।

ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের উদ্যোগে কাজ চলছে ন্যাশনাল ডিজিটাল লাইব্রেরি প্রকল্পের।

প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০৪১ এর আলোকে ত্রিমুখী কৌশলের কথাও জানান প্রতিমন্ত্রী পলক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে