গ্রাহকদের কাছে গ্যাসের বকেয়া ৯ হাজার কোটি টাকা : প্রতিমন্ত্রী

বর্তমানে দেশে বিদু্যৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার ৪২১ মেগাওয়াট

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বিদু্যৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, গ্রাহকদের কাছে দেশের সরকারি ছয়টি বিতরণ কোম্পানির গ্যাস বকেয়া বিলের পরিমাণ ৯ হাজার ১৯ কোটি ৪ লাখ টাকা। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বর্তমানে দেশে বিদু্যৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার ৪২১ মেগাওয়াট বলে জানিয়েছেন। ছয়টি বিতরণ কোম্পানির গ্যাস বকেয়া বিল নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, সব চেয়ে বেশি বকেয়া তিতাস গ্যাসের। এর বকেয়া বিলের পরিমাণ ছয় হাজার ৬৭৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানির বকেয়া ৬৯৬ কোটি ৮১ লাখ, কর্ণফুলীর ৮৪৪ কোটি ৯৫ লাখ, জালালাবাদের ৪৮৩ কোটি ৩২ লাখ, পশ্চিমাঞ্চলের ১৯৫ কোটি ১৯ লাখ ও সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির ১২০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। আরেক প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী গত ১০ বছরে তিতাস গ্যাসের সিস্টেম লসের তথ্য তুলে ধরে জানান, ২০১২-১৩ অর্থবছরে সিস্টেম লস প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এলেও আবার বেড়েছে। ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সিস্টেম লস হয়েছে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে; তিতাসের সিস্টেম লস ছিল ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। এছাড়া সংসদ সদস্য আলী আজমের (ভোলা-২) প্রশ্নের জবাবে বিদু্যৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বর্তমানে দেশে বিদু্যৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার ৪২১ মেগাওয়াট। এর মধ্যে আমদানিসহ গ্রিডভিত্তিক উৎপাদন ক্ষমতা ২১ হাজার ২৩৯ মেগাওয়াট, ক্যাপটিভ ২৮০০ মেগাওয়াট এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৩৮২ মেগাওয়াট। এ সময় মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার বিদু্যৎ খাতের উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ চাহিদা বিবেচনা করে বিদু্যৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং যথাসময়ে সেগুলো বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। পরিকল্পনাসমূহ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে মোট ১৪ হাজার ৩৪৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৪১টি বিদু্যৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। মোট ২ হাজার ৮৯৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৮টি বিদু্যৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন। এ বিদু্যৎকেন্দ্রগুলো ২০২১ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। তিনি আরও জানান, মোট ৭০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৭টি বিদু্যৎকেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন। এ বিদু্যৎকেন্দ্রগুলো ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। মোট ১৫ হাজার ১৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৩টি বিদু্যৎকেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনাধীন। ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রূপপুরে পারমাণবিক বিদু্যৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন, যা ২০২৪ সালের মধ্যে চালু হবে। আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে ভারত ও নেপাল থেকে ১ হাজার ৯৯৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদু্যৎ আমদানি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে, যা ২০২২ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে শুরু হবে।