মজুত প্রবণতার কারণে চালের দাম বেড়েছে : বিএআরসি

প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
করোনায় খাদ্য ঘাটতির শঙ্কায় ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা প্রচুর চাল মজুত করেছিলেন। তাদের মজুত প্রবণতার কারণে এ বছর অস্বাভাবিকভাবে চালের দাম বেড়েছে। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। মঙ্গলবার বাজারে বেড়ে যাওয়া চাল, আলু ও পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির কারণ উদ্ঘাটনের জন্য মাঠ পর্যায়ের গবেষণার ফলে এ তথ্য জানিয়েছে কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি)। বিএআরসির অডিটরিয়ামে কর্মশালায় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক প্রধান অতিথি ছিলেন। জানা গেছে, চাল, আলু ও পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির কারণ উদ্ঘাটনের জন্য বিএআরসির নেতৃত্বে নার্সভুক্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর কৃষি অর্থনীতিবিদদের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে গবেষণা পরিচালনার লক্ষ্যে বিএআরসি কর্তৃক পৃথক তিনটি স্টাডি টিম গঠন করা হয়। স্টাডি টিম তিনটি তাদের চূড়ান্ত গবেষণা প্রতিবেদন ওই কর্মশালায় উপস্থাপন করেন। গবেষণায় বলা হয়, করোনার কারণে কৃষকরাও ধীরে ধীরে চাল বিক্রি করেছে। তারা ধান ওঠার এক মাসের মধ্যে নিজেদের প্রয়োজনের উদ্বৃত্ত চাল বিক্রি করেন। এরপর ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা চাল মজুত করেছিলেন। এতে আরও বলা হয়, সরকার চাল সংগ্রহ ও যথাসময় চাল আমদানি করতে পারেনি। পাশাপাশি যথাযথ হস্তক্ষেপ করতেও ব্যর্থ হয়েছে। যার কারণে দাম বেড়েছে। এ ছাড়া মিল মালিক ও ব্যবসায়ীদের আধিপত্য এবং অসম প্রতিযোগিতা, আমনের উৎপাদন ঘাটতি, চাল আমদানি বন্ধ, মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কারণে বেশি পরিমাণে দাম বেড়েছে বলে গবেষণার ফলে জানানো হয়। কর্মশালায় আরও জানানো হয়, পেঁয়াজের দাম বেড়েছে একই ধরনের ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে। এ ছাড়া ভারতের পেঁয়াজের আমদানিনির্ভরতা, সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণের কম সক্ষমতার কারণ ছিল দাম বাড়ার পেছনে। কর্মশালায় বাংলাদেশ তারিফ কমিশন, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ, খাদ্য অধিদফতর, খাদ্য ভবন, এফপিএমইউ-খাদ্যভবন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বু্যরো, রপ্তানি উন্নয়ন বু্যরোসহ বিভিন্ন গবেষণা ও সম্প্রসারণ প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ১০০ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।