বিএনপি খালেদা-তারেককে মাইনাস করতে চায়

বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন নেতাদের ভাড়া করে এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে মাইনাস করতে মাঠে নেমেছে বলে মনে করেন ক্ষমতাসীন ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম। সোমবার দুপুরে রাজধানীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে ১৪ দলীয় জোটের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য। গত ২২ সেপ্টেম্বর গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সমাবেশে সরকারবিরোধী বৃহত্তর ঐক্যের সূচনার ঘোষণা আসে। তৃতীয় শক্তি হওয়ার বাসনায় গত ডিসেম্বরে গঠন করা যুক্তফ্রন্টে কামাল হোসেনের আগেই থাকার কথা ছিল। সে সময় মনোমালিন্য হলেও পরে দুই পক্ষ একসঙ্গে কাজ করার ঘোষণা আসে। আর এ জোটের সঙ্গে ঐক্য করতে মরিয়া বিএনপি, যাকে তারা জাতীয় ঐক্য বলছে। গত শনিবার কামাল হোসেনের সমাবেশে বিএনপির অংশগ্রহণ সেই আকাক্সক্ষার বাস্তবায়নের সূচনা হিসেবেই ধরা হচ্ছে। এই ঐক্যে বিএনপির অবস্থান কোথায়, সেটি নিয়ে চলছে আলোচনা। কারণ নেতা হিসেবে কামাল হোসেন নাকি সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এর নেতা-সেটি নিয়েই এখন পযর্যন্ত চলছে আলোচনা। আর একটি প্রভাবশালী দৈনিক জানিয়েছে, কামাল হোসেনকে নেতা মেনে নিয়েছে বিএনপি, যদিও দলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো ঘোষণা আসেনি। নাসিম বলেন, ‘বিএনপি নিজেরা এমন নেতৃত্ব সৃষ্টি করেছে যে এখন অন্য নেতৃত্বকে ভাড়া করতে হচ্ছে। বিএনপিকে এখন জনবিচ্ছিন্ন নেতাদের ভাড়া করতে হচ্ছে এটা বড়ই দুভার্গ্য। এমনকি তারা এখন খালেদা জিয়াকে মাইনাস করার জন্য মাঠে নেমেছে, অন্য নেতাদের ভাড়া করে এনে তারা নিজেদের দুই নেতাকে মাইনাস করার জন্য মাঠে নেমেছে।’ নাসিম বলেন ‘তারা একই মঞ্চে বসে গণতন্ত্রের নামে নতুন করে একটি ঘোষণা দিয়েছে। এ গণতন্ত্রের কথা বলেই এক/এগার সৃষ্টি করা হয়েছিল। ১/১১ কুশীলবরা এ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। তাদের মানুষ চেনে এবং জানে। তারা এক/এগার সৃষ্টি করে মূলত শেখ হাসিনাকে মাইনাস করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা দেশের জনগণের কাছে পরাস্ত হয়েছিল।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১/১১ সরকারের আগেও এ রকম নাগরিক সমাবেশ, বুদ্ধিজীবী সমাবেশের নামে এ ধরণের নাটক করা হয়েছিল। ওই সময় একজন বিখ্যাত ব্যক্তির ইঙ্গিতে করা হয়েছিল। আবারও সেই চক্রান্তের অশুভ ইঙ্গিত আমরা দেখতে পাচ্ছি।’ নাসিম বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, যে কেউ নিবার্চন করতে চাইলে কোন সমস্যা নাই, জোট, মহাজোট করে নিবার্চন করেন কোন অসুবিধা নাই। কিন্তু নিবার্চন নিয়ে নতুন করে কোন চক্রান্ত ও ফন্দি করবেন না। এটা আমরা সহ্য করব না।’ জোটের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাসদের একাংশের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীফ বড়ুয়া, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণতন্ত্রী পাটির্র সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বয়াক ওয়াজেদুল ইসলাম মিয়া, গণআজাদী লীগের এস কে সিকদার।