স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনে সাকী-নুরের নেতৃত্বে চার সংগঠনের জোট

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী যৌথ কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপনের ঘোষণা দিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন, ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদ, মওলানা ভাসানী অনুসারী পরিষদ এবং রাষ্ট্রচিন্তা। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই চারটি সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ছাত্র যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এবং রাষ্ট্রচিন্তা'র হাসনাত কাইয়ুম অংশ নেন। সংবাদ সম্মেলনে জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা গণমানুষের রাজনীতি বাংলাদেশে গড়ে তুলতে চাই। তারই অংশ হিসেবে আমরা একসঙ্গে কিছু কাজ করছি। এর মধ্য দিয়ে আমরা গণমানুষের রাজনীতি এগিয়ে নিয়ে গিয়ে জনগণের নিজস্ব রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এই প্রক্রিয়ায় আমরা আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, চারটি সংগঠনের একত্রিত হওয়ার নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য আছে। আমাদের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা হচ্ছে এই ঐক্যের ভিত্তি। ব্যাপকভাবে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করাই আমাদের আপাতত লক্ষ্য। ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছে, এটা চলমান থাকবে। আমাদের চিন্তার সঙ্গে যদি আরও কেউ যুক্ত হতে চায়, আমরা তাদের আহ্বান জানাই আমাদের সঙ্গে আসার। এ সময় ৪টি সংগঠনের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে নঈম জাহাঙ্গীর বলেন, বর্তমান সরকারের দেশ পরিচালনার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে জনগণের পয়সায় প্রতিপালিত রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বাহিনী, রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং দলের পরিচয়ে পরিচিত মাস্তানদের ব্যবহার করে নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স পূরণ করে ভোটের নামে নজিরবিহীন প্রহসন করা হয়েছে। আমরা সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করার আহ্বান জানাই। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ৪ সংগঠনের গৃহীত আংশিক কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ১ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা, ১২ মার্চ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সুবর্ণজয়ন্তী সমাবেশ, ২৬ মার্চ স্ব-স্ব সংগঠনের উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবস পালন, ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র দিবস পালন। এ সময় অন্যদের মধ্যে ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।