আজকের যায়যায়দিন

চলতি মৌসুেেদশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯৮৩ মেট্রিক টন চাল।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বর্তমানে কৃষকরা জমিতে ধানের চারা লাগানোর এবং পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গতবছর ধান ও চালের দাভালো পাওয়ায় অনেক প্রান্তিক ও বর্গাচাষি এবছর ইরি-বোরো চাষে ঝুঁকেছেন এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

খুলনা যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলা হচ্ছে- যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর। যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার যশোর জেলায় ১ লাখ ৫৫ হাজার হেক্টর জমিতে, ঝিনাইদহে ৭৭ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে, মাগুরায় ৩৭ হাজার ৩৮৫ হেক্টর জমিতে, কুষ্টিয়ায় ৩৩ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে, চুয়াডাঙ্গায় ৩১ হাজার ৭২৫ হেক্টর জমিতে এবং মেহেরপুর জেলায় ১৮ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, যশোর সদর উপজেলার, বাঘারপাড়া উপজেলার, ঝিকরগাছা উপজেলার চৌগাছা উপজেলার এবং মাগুরা সদর উপজেলার মাঠের পর মাঠজুড়ে ইরি-বোরো ধানের চারা লাগানোর এবং তা পরিচর্যার কাজে ব্যস্তসময় পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণিরা।

আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ / জিয়া মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর ছিলেন

যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস যায়যায়দিনকে জানান, কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে ইরি-বোরো ধান চাষিদের উদ্বুদ্ধকরণ, পরামর্শ, উঠান বৈঠক, নতুন নতুন জাতের বীজ সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক বোরো চাষ সম্পন্নের লক্ষ্যে সহজশর্তে কৃষকদের ঋণ প্রদান করছে। বাজারে বর্তমানে ধান ও চালের দাবৃদ্ধি থাকায় অঞ্চলের জেলাগুলোতে ইরি-বোরোর চাষ দিন দিন বাড়ছে বলে তিনি জানান।