বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ইলেকট্রিক গাড়ি আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার চায় বারভিডা

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৩ মার্চ ২০২১, ০০:০০

২০৩০ সালের মধ্যে মোটরযানে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমে আসবে। পাশাপাশি, দেশে ইলেকট্রিক গাড়ির বাজার সৃষ্টির যথেষ্ট সুযোগ আছে বলে মনে করে গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)। আর এ কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে ইলেকট্রিক ব্যাটারিচালিত মোটরগাড়ি আমদানিতে প্রচলিত ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক-কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

এছাড়া, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে নতুন গাড়ির পাশাপাশি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিতে সুনির্দিষ্ট শুল্ক নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে বারভিডা।

মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে প্রাক বাজেট আলোচনায় এই প্রস্তাব দেয় সংগঠনটি। এতে সভাপতিত্ব করেন এনবিআরের আয়কর নীতির সদস্য মো. আলমগীর হোসেন।

বাজেট প্রস্তাবে বারভিডা সভাপতি আবদুল হক বলেন, সম-প্রকৃতির ব্র্যান্ড নিউ মোটরযানের ওপর আরোপিত স্পেসিফিক ডিউটি (নির্ধারিত শুল্ক) থেকে বছর ও গাড়ির প্রকৃতি ভেদে ১ বছর পুরানো ১০ শতাংশ, ২ বছর পুরানো ২০ শতাংশ, ৩ বছর পুরানো ৩০ শতাংশ, ৪ বছর পুরানো ৪০ শতাংশ এবং ৫ বছর পুরানো ৫০ শতাংশ হারে অবচয় দিয়ে রিকন্ডিশনড গাড়ির শুল্কায়ন মূল্য নির্ধারণের প্রস্তাব করেছি।

এছাড়া, ৪০ বা তার বেশি আসনের রিকশিন্ড বাসের সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ, রিকন্ডিশন্ড বাস, ডাম্প ট্রাক, ফায়ার ফাইটিং গাড়ি, মিক্সার লরি, ক্রেন লরিসহ অন্যান্য গাড়ি আমদানি শুল্ক ১ শতাংশ করার দাবি জানায় সংগঠনটি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বারভিডার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম (সম্রাট), জসিম উদ্দিন মিন্টু, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ মোকলেসুর রহমান প্রমুখ। রাজস্ব বোর্ডের পক্ষে শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসন বিভাগের সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, শুল্ক নীতি ও আইসিটি বিভাগের সদস্য সৈয়দ গোলাম কিবরীয়াসহ বাজেট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে