এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশ | ০২ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের নামে এবি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ৩৮৩ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হকসহ চার পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুনীির্ত দমন কমিশন (দুদক)। কমিশনের উপ-পরিচালক ও তদন্ত কমর্কতার্ মো. সামসুল আলম সোমবার সকাল ১০টা থেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বলে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচাযর্ জানান। ওয়াহিদুল হক ছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে উপস্থিত বাকিরা হলেন এবি ব্যাংকের পরিচালক মো. ফিরোজ আহমেদ, সাবেক পরিচালক এম এ আউয়াল ও অধ্যাপক মো. ইমতিয়াজ হোসেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর এবি ব্যাংকের ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস দেয় দুদক। বাকি আটজন পরিচালককে মঙ্গল ও বুধবার সেগুনবাগিচায় দুদক কাযার্লয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। এই ১২ জনের কেউ এ মামলার আসামি নন। এর মধ্যে মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবি ব্যাংকের পরিচালক শিশির রঞ্জন বোস, সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দিন, সাবেক পরিচালক মিশাল কবির ও সাবেক পরিচালক ফাহিমুল হককে। আর বুধবার সাবেক পরিচালক মো. মেজবাহুল হক, সাবেক পরিচালক আনোয়ার জামিল সিদ্দিকী, সাবেক পরিচালক বি বি সাহা রায় এবং সাবেক পরিচালক রুনা জাকিয়া শাহরুদ খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। এদিকে এই অথর্ আত্মসাৎ মামলার আসামি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিএনপি নেতা এম মোরশেদ খান ও তার স্ত্রী নাছরিন খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক তলব করা হলেও তারা অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সময় চেয়েছেন। গত বছর ২৮ জুন রাজধানীর বনানী থানায় করা এ মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোরশেদ খান, তার স্ত্রী, সিটিসেলের এমডি মেহবুব চৌধুরীসহ মোট ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের মূল কোম্পানির নাম প্যাসিফিক টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড (পিবিটিএল)। মোশের্দ খানের চেয়ারম্যান, তার স্ত্রী নাছরিন খানও একজন পরিচালক। এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে সিটিসেলের নামে এবি ব্যাংক থেকে অনিয়মের মাধ্যমে সাড়ে তিনশ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম টেলিকম অপারেটর সিটিসেল ২০১৬ সালে দেনার দায়ে বন্ধ হয়ে যায়।