আজকের যায়যায়দিন

জাতীয় সংসদের স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনই ছিল শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে তরুণ নেতৃত্ব ভবিষ্যৎ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করবে এটাই হোক জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর প্রত্যয়।

বৃহস্পতিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সংসদ সচিবালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার এ কথা বলেন।

ডক্টর শিরীন শারমিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল লক্ষ্য ছিল মানুষের প্রতি ভালোবাসা। তিনি কখনও অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে আমৃতু্য সংগ্রাম করেছেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধু দূরদৃষ্টি ও গভীর প্রজ্ঞাসম্পন্ন সার্বিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। শোষণ-বৈষম্য-নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে বাংলার মানুষকে মুক্তি দেওয়াই ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য। ১৯৭৪ সালে বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ স্থাপন তার উন্নত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার অন্যতম পদক্ষেপ।

আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ / জিয়া মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর ছিলেন

সভায় জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু যা বিশ্বাস করতেন তাই ৭ মার্চের ভাষণে ঘোষণা দিয়েছিলেন। তারই নেতৃত্বে যুদ্ধ জয় করে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ ও অনন্য সংবিধান।

জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন সভায় বক্তব্য রাখেন।

জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ডক্টর জাফর আহমেদ খানের সভাপতিত্বে সভায় উপ-সচিব এস এম মঞ্জুর কবিতা আবৃত্তি, পরিচালক তারিক মাহমুদ 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' থেকে ও উপ-পরিচালক সামিয়া রুবাইয়াত হোসাইন 'কারাগারের রোজনামচা' থেকে পাঠ করেন।

অনুষ্ঠানে উপ-সচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার, সহকারী সচিব আসিফ হাসান, আবুল খায়ের উজ্জ্বল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।