তারেকের ফঁাসির জন্য আপিল করব: আইনমন্ত্রী

প্রকাশ | ১১ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক Ñযাযাদি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ একুশে অগাস্টের গ্রেনেড হামলার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদÐ পাওয়া তিন আসামির মৃত্যুদÐের জন্য আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বুধবার সকালে রায় ঘোষণার পর সচিবালয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ‘হামলার হোতা তারেকের মৃত্যুদÐ হওয়া উচিত ছিল’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। মামলার বিচার শেষ হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “রায়ের কাগজপত্র পাওয়ার পরে আমরা চিন্তা-ভাবনা করব যে এই রায়ে তারেক রহমানকে এবং আরও দুজন- কায়কোবাদ এবং হারিছ চৌধুরীকে যে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে সেটার জন্য আমরা উচ্চতর আদালতে গিয়ে তাদের ফঁাসির জন্য আমরা...এনহান্সমেন্ট বলে সেটা আইনে...এনহান্সমেন্টের জন্য আমরা আপিল করব। “এই হামলার মূল নায়ক তারেক রহমান। তিনি আওয়ামী লীগকে ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সপাটে শেষ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের নায়ক ছিলেন। মূল হোতা তারেকের মৃত্যুদÐ হওয়া উচিত ছিল।” ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শোভাযাত্রায় গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন; আহত হন কয়েকশ নেতাকমীর্। সেদিন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান আজকের প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু গ্রেনেডের প্রচÐ শব্দে তার শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়। শেখ হাসিনাকে হত্যা করে দলকে নেতৃত্বশূন্য করতেই এই হামলা হয়েছিল এবং তাতে তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামায়াত জোটের শীষর্ নেতাদের প্রত্যক্ষ মদদ ছিল বলে এ মামলার রায়ে উঠে আসে। ঢাকার এক নম্বর দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এই মামলার রায়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদÐের রায় দিয়েছেন। খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদÐ। এছাড়া এ মামলার আসামি ১১ পুলিশ ও সেনা কমর্কতাের্ক বিভিন্ন মেয়াদে কারাদÐ দেওয়া হয়েছে। আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসে তখন জজ মিয়া নাটকের ব্যাপারটি উদ্ঘাটিত হলে আবার তদন্ত করা হয়। সুষ্ঠ তদন্তের পর যারা যারা এ মামলায় ষড়যন্ত্রে হত্যার কাজে এবং আলামত গুম করার জন্য দায়ী তাদেরকে বিচারে সোপদর্ করা হয়। পলাতক ১৮ আসামিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে বলেও তিনি জানান।