মান্নার পাসপোটর্ ৩ মাসের জন্য ফেরতের নিদের্শ

প্রকাশ | ১২ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
মাহমুদুর রহমান মান্না
নাগরিক ঐক্যের আহŸায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে আবারও তিন মাসের জন্য পাসপোটর্ ফেরত দিতে নিদের্শ দিয়েছে সবোর্চ্চ আদালত। পাসপোটর্ চেয়ে মান্নার আবেদনে শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ নিদের্শ দেয়। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান; সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শাহদীন মালিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটনির্ জেনারেল মুরাদ রেজা। আইনজীবী শাহদীন মালিক পরে সাংবাদিকদের বলেন, মাহমুদুর রহমান মান্নার যখন জামিন হয়, তখন একটা আদেশ ছিল যে, তার পাসপোটর্ আদালতে জমা রাখতে হবে। চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজন হলে পাসপোটর্ চেয়ে আবেদন করেন মান্না। গত বছরের ২৪ আগস্ট আপিল বিভাগ তাকে তিন মাসের জন্য পাসপোটর্ ফেরত দেওয়ার নিদের্শ দেন। ‘এখন আবার চিকিৎসা করাতে উনি বিদেশ যাবেন। তাই পাসপোটর্ চেয়ে আবেদন করেছেন। সবোর্চ্চ আদালত তিন মাসের জন্য তাকে পাসপোটর্ ফেরত দিতে বলেছেন।’ রাষ্ট্রদ্রোহ ও উসকানির দুই মামলায় জামিনের শতর্ হিসেবে আপিল বিভাগের নিদেের্শ পাসপোটর্ জমা রেখেছেন মান্না। তার আবেদনের ওপর শুনানি করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমকে মান্নার পাসপোটর্ ফেরত দিতে নিদের্শ দিয়েছে আপিল বিভাগ। আর মান্নাকে বলা হয়েছে, চিকিৎসা শেষে বিদেশ থেকে ফেরার এক সপ্তাহের মধ্যে পাসপোটর্ জমা দিতে। নিউইয়কের্ অবস্থানরত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা এবং অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে মান্নার টেলিআলাপের দুটি অডিও ক্লিপ প্রকাশের পর ২০১৬ সালের ২৪ ফেব্রæয়ারি গুলশান থানায় সেনা বিদ্রোহে উসকানির অভিযোগে মামলা করা হয়। পরদিন মান্নাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৈধ সরকারকে অবৈধভাবে উচ্ছেদের চেষ্টার অংশ হিসেবে ধ্বংসাত্মক কমর্কাÐ চালানোর পরিকল্পনা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র হত্যাচেষ্টার মদদ দেয়ার অভিযোগ আনা হয় মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে। এরপর ২০১৬ সালের ৫ মাচর্ একই থানায় দায়ের করা হয় রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা। ওই মামলাতেও মান্নাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ দুই মামলায় ওই বছরের ১১ অক্টোবর হাইকোটর্ থেকে জামিন পান মান্না। পরে আপিল বিভাগেও তা বহাল থাকে।