দাফনে এক টাকাও খরচা নেই আজিমপুরে

প্রকাশ | ১২ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থান Ñযাযাদি
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকার আজিমপুর কবরস্থানে লাশ দাফনে বতর্মানে মৃতের স্বজনদের একটি টাকাও খরচা হয় না। বতর্মানে যে কারো লাশ দাফনের জন্য প্রয়োজনীয় কাফনের কাপড়, সাবান, লোবান, বঁাশ, চাটাই ও কবর খোদাই করাসহ সকল খরচ ডিএসসিসির নিজস্ব ফান্ড থেকে বহন করা হচ্ছে। খেঁাজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে এ কবরস্থানে সরকারি খরচে সম্পূণর্ বিনা খরচে লাশ দাফন করা হচ্ছে। বুধবার সকাল ১০টা পযর্ন্ত গত ২৮ দিনে আজিমপুর কবরস্থানে বিনা খরচে ৫৮১টি লাশ দাফন করা হয়েছে। শুধু লাশ দাফনই নয়, ডিএসসিসি এলাকায় মৃত অসচ্ছল নাগরিকদের লাশ সিটি করপোরেশনের খরচে লাশবাহী গাড়ি/অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে তার স্থায়ী ঠিকানা পৌঁছানোরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ সেবা প্রদানের জন্য ডিএসসিসি দুটি হটলাইন ফোন নম্বর (০২-৯৫৫৬০১৪, ০১৭০৯৯০০৮৮৮) খোলা হয়েছে। আজিমপুর কবরস্থানের মোহরার মৌলভী মিজানুর রহমান জানান, শুধু আজিমপুর কবরস্থানেই নয়, মেয়র সাঈদ খোকনের নিদেের্শ ডিএসসিসি এলাকার আওতাধীন সকল কবরস্থান ও শ্মশানে সম্পূণর্ বিনামূল্যে লাশ দাফন/দাহ করা হচ্ছে। ডিএসসিসির ব্যতিক্রমধমীর্ এ উদ্যোগে সুবিধাভোগীরা বেশ আনন্দিত বলেও জানান তিনি। জানা গেছে, আজিমপুর পুরাতন ও নতুন কবরস্থান মিলিয়ে প্রতিবছর ১০ হাজার লাশ দাফন হয়। আগে লাশ দাফনের জন্য সরকারি ফি ২০০ টাকা ও কবরভেদে (বড়, মাঝারি ও ছোট) লাশ দাফনের জন্য সবির্নম্ন ৮৭ টাকা থেকে সবোর্চ্চ সাড়ে ৫শ’ টাকা খরচ হতো। এর বাইরে দাফনের কাপড় বাবদও ১ হাজার থেকে দেড় দুই হাজার টাকা খরচ হতো। ১০ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় সরেজমিন আজিমপুর কবরস্থান ঘুরে দেখা গেছে, পুরাতন কবরস্থানের অফিস কক্ষে ২৩৫/এ লালবাগ রোডের বাসিন্দা ৮০ বছরের বৃদ্ধা আম্বিয়া খাতুনের লাশ দাফনের প্রক্রিয়া চলছে। বৃদ্ধার স্বজনরা জানান, কবর দিতে তাদের কোনো টাকা লাগছে না। বাসা থেকে গোসল করিয়ে এনেছেন বলে দাফনের কাপড়টা তারা কিনেছেন। বিনামূল্যে দাফনের জন্য মেয়রের এ উদ্যোগকে তারা স্বাগত ও ধন্যবাদ জানান। সরেজমিন দেখা যায়, অফিস কক্ষে বসে মোহরার মৃতের নাম ঠিকানা লিপিবদ্ধ করছেন। পাশে বসে আছে কবরস্থানে বঁাশ ও চাটাইয়ের ঠিকাদার সৈয়দ বরকত হোসেন কল্লোল। তিনি জানান, এখানে লাশ নিয়ে আসলে তারা প্রয়োজন অনুসারে বঁাশ ও চাটাই বিনামূল্যে সরবরাহ করেন। ডিএসসিসিতে বিল জমা দেয়ার জন্য কবরস্থানের প্যাডে মৃতের স্বজনদের স্বাক্ষর রাখেন। নতুন নিয়মে বিল পেতে তার কোনো সমস্যাই নেই।