ক্ষমতা নয়, হাসিনাকে হটাতে চান কামাল

মন্তব্য ওবায়দুল কাদেরের

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীতে নিমির্ত বিআরটিএর নতুন ভবন পরিদশর্ন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের Ñযাযাদি
ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয় বরং শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে হটানোর জন্য ড. কামাল হোসেন বিএনপিকে নিয়ে ঐক্য করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার সকালে বনানীতে নিমির্ত বিআরটিএর নতুন ভবন পরিদশর্ন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। কাদের বলেন, ‘কামাল হোসেনের আসলে শেখ হাসিনাকে হটানোর জন্য তারেক জিয়ার নেতৃত্ব মেনে নিতেও কোনো আপত্তি আছে বলে মনে করি না। কারণ এই ধরনের ঐক্যটা আসলে কে চালাবে? মূল দল হচ্ছে বিএনপি। আর বিএনপি চালায় কে? “তারেক রহমানের অঙ্গুলি হেলনেই চলবে এটা। লন্ডন থেকে দলেরও নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং এই জোটেরও নেতৃত্ব কলকাঠি নাড়বেন তারেক রহমান। সেখান ড. কামাল হোসেন সাহেব এটা নিজে ভালো করেই জানেন।” দুই দশক আগে আওয়ামী লীগের শাসনামলে জামায়াত, বিজেপি ও ইসলামী ঐক্যজোটকে নিয়ে চারদলীয় ঐক্যজোট গঠন করেছিল বিএনপি। ২০১২ সালে নিদর্লীয় সরকারের অধীনে নিবার্চনের দাবিতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের লক্ষ্যে চারদলীয় জোটের পরিসর বাড়িয়ে ১৮ দলীয় জোট গঠন করেছিল বিএনপি। পরে আরও দুটি দল তাতে যোগ দেয়। একাদশ সংসদ নিবার্চনের আগে ২০ দলীয় জোট রেখেই কামাল হোসেন, আ স ম আবদুর রব ও মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে নতুন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিল বিএনপি। জামায়াতের সঙ্গ না ছাড়ায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়নি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর দল বিকল্পধারা। অন্যদিকে জামায়াতের সঙ্গে আরেক জোটে থাকা বিএনপিকে নিজের জোটে নিলেও জামায়াত নিয়ে আপত্তির কথা বলেছিলেন গণফোরাম সভাপতি কামাল। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কামাল হোসেনের টাগের্ট সম্ভবত ক্ষমতায় যাওয়া নয়, তার টাগের্ট হলো শেখ হাসিনাকে ছলে-বলে যেভাবেই হোক ক্ষমতায় মঞ্চ থেকে হঠানো। সেজন্য তারেক রহমানের মতো যাবজ্জীবন দÐপ্রাপ্ত ব্যক্তির নেতৃত্ব মেনে নিতে তার আপত্তি আছে বলে মনে করি না।’ এই জোট থেকে ইতোমধ্যে বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে বের করে দেয়া হয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সম্পাদক বলেন, এ ধরনের ঐক্য তেলে আর জলে মেশানোর অপচেষ্টা মাত্র, এই অপচেষ্টা ব্যথর্ হবে। ‘ড. কামাল হোসেন গণফোরাম করেও সাড়া পায়নি এখানে বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করেও সাড়া পাবেন না।’ নিবার্চন কমিশনের বৈঠক থেকে একজন নিবার্চন কমিশনার বৈঠক বজর্ন করার বিষয়টি দৃষ্টি আকষর্ণ করলে ওবায়দুর কাদের বলেন, ‘ওনাকেও মহামান্য রাষ্ট্রপতি সাচর্ কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ দিয়েছেন। বিএনপির কথামতই করা হয়েছে। আর নোট অব ডিসেন্ট যে কেউ দিতে পারে। নিরাপত্তা পরিষদে পঁাচজন সদস্য আছে এর মধ্যে একজন বিরোধিতা করতেই পারে। মেজরিটি যা বলবে তাইতো বৈঠকের সিদ্ধান্ত হবে, এটাই স্বাভাবিক। আর কেউ বিরোধিতা করবে এটাই তো গণতন্ত্র। এটা কোনো প্রতিবন্ধকতা নয়। আর এটার জন্য নিবার্চন কমিশনের পুনগর্ঠনের কোন যৌক্তিক কথা নয়।’