গ্রেনেড হামলা মামলার পুনঃতদন্ত দাবি বিএনপির

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কাযার্লয়ে মঙ্গলবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী Ñযাযাদি
রায় বাতিল করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার পুনঃতদন্ত দাবি করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কাযার্লয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় বাতিল করতে হবে। মামলাটির তদন্ত কমর্কতার্ আবদুল কাহার আকন্দকে বাদ দিয়ে নিরপেক্ষভাবে পুনঃতদন্ত করে পুনরায় বিচার কাযর্ক্রম শুরু করার দাবিও জানান বিএনপির এ নেতা। ২১ আগস্টের গ্রেনেড বোমা হামলা নিয়ে শুরু থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আচরণ, বক্তব্য ও মন্তব্য সামঞ্জস্যহীন ও রহস্যাবৃত বলে মন্তব্য করেন রিজভী। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, মুক্তাঙ্গনে পুলিশের অনুমতি নিয়ে কেন সেদিন বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কাযার্লয়ের সামনে আওয়ামী লীগ সমাবেশ করল? রিজভী বলেন, বিএনপি সরকারের সময় বাংলাদেশ পুলিশি রাষ্ট্র ছিল না। অবারিত ছিল গণতন্ত্র। রাজধানীতে জনসভার জন্য সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে অনুমতি গ্রহণের পর নিয়ম ছিল মাইক ব্যবহারের অনুমতি নিতে হতো পুলিশের কাছ থেকে। তিনি বলেন, মূল চাজির্শট দাখিলকারী কমর্কতার্ এএসপি ফজলুল কবিরের কাছে গত ২০০৭ সালের ২২ নভেম্বর জবানবন্দি প্রদানকালে সমাবেশে পুলিশের অনুমতি না দেয়ার কথা বলেন শেখ হাসিনা। ‘অথচ সমাবেশে পুলিশের অনুমতি প্রদান না করার বিষয়টি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ২০০৪ সালের ২০ আগস্ট তারিখ থেকে ২০০৭ সালের ২২ নভেম্বর পযর্ন্ত প্রায় সোয়া তিন বছর সময়কালে কখনই কোনো সভা-সমিতি-সাক্ষাৎকার-আলোচনা সভা-বিজ্ঞপ্তি ও প্রচারণায় কোথাও তিনি উল্লেখ করেননি।’ রিজভী আরও বলেন, ২০ আগস্ট সমাবেশ অনুষ্ঠানের আগের দিন বিকালে মহানগরের বেরাইদ স্কুল মাঠে এক জনসভায় দীঘর্ বক্তৃতা করেন শেখ হাসিনা। সেই বক্তৃতায়ও তিনি অনুমতি না প্রদানের বিষয়ে কোনো কথা বলেননি। ‘২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের সেই সমাবেশে বতর্মান প্রধানমন্ত্রী প্রায় ২০-২২ মিনিট ধরে বক্তৃতা করেন। সেই বক্তৃতায়ও তিনি একটিবারের জন্যও বলেননি- পুলিশি অনুমতি না পাওয়ার কারণে তাকে মুক্তাঙ্গনে সভা না করে এখানে করতে হচ্ছে’, যোগ করেন রিজভী। বিএনপির এ নেতা বলেন, ২১ আগস্ট মমাির্ন্তক ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকার দেন। সেই সাক্ষাৎকারেও তিনি এমন অনুমতি না প্রদানের বিষয়ে কোনো শব্দই উচ্চারণ করেননি।