বয়সে বঞ্চিত শিক্ষকরাও সরকারি সুবিধা চান

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
সদ্য সরকারিকরণকৃত ২৯০ কলেজের ৫৯ উত্তর বয়সের শিক্ষক-কমর্চারীকে সরকারিকরণের দাবিতে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অতিথিরা Ñযাযাদি
সরকারি করা ২৯০ কলেজের ৫৯ বয়সের শিক্ষক-কমর্চারীদের সরকারিকরণের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন ‘বঞ্চিত’ শিক্ষক-কমর্চারীরা। গত ৩১ জুলাইয়ের নীতিমালা প্রজ্ঞাপনে ৬(ঙ) ধারা সংশোধনের মাধ্যমে তারা এ সুযোগ-সুবিধা চান। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘বেসরকারি কলেজ শিক্ষক-কমর্চারীদের চাকরির সবোর্চ্চ বয়স ৬০ বছর। যেহেতু জাতীয়করণের লক্ষ্যে নিয়োগ, সম্পদ হস্তান্তর ও অথর্ ব্যয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হওয়ার সময় আমাদের বয়স ৫৯ অতিক্রম করেনি। সেহেতু গত ৩১ জুলাইয়ের নীতিমাল প্রজ্ঞাপনে ৬(ঙ) ধারা সংশোধন করে সদ্য সরকারীকরণ করা কলেজসমূহের শিক্ষক-কমর্চারীদের সরকারীকরণের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদানে সুব্যবস্থা করতে আমরা আবেদন জানাচ্ছি।’ তারা বলেন, ‘কলেজসমূহ জাতীয়করণের অংশ হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাউশির এবং প্রধানমন্ত্রীর কাযার্লয় বিভিন্ন স্মারকের প্রজ্ঞাপনে কলেজের নিয়োগ, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আমরা আশাহত হলাম, ৩১ জুলাই নীতিমালা প্রজ্ঞাপনে ৬(ঙ) ধারা মোতাবেক সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৮ আগস্ট তারিখ থেকে কাযর্কর হবে এবং উল্লেখিত তারিখের পূবের্ যাদের সরকারি চাকরির বয়সসীমা অতিক্রম করেছি তাদের অস্থায়ীভাবে নিয়োগ গ্রহণযোগ্য হবে না।’ সংবাদ সম্মেলনে তারা আরও বলেন, ‘আমাদের বয়সসীমা ৮ আগস্টের পূবের্ ৫৯ বছর অতিক্রম করেছে। আমরা দীঘর্ ধরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিষ্ঠার সঙ্গে শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করছি। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে ৩১ জুলাইয়ের নীতিমালা প্রজ্ঞাপনে ৬(ঙ) ধারার কারণে আমরা সব ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।’ সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল মোত্তালেব, সদস্য একেএম জয়নাল আবেদীন, আলম মিয়া, আনোয়ার হোসেন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।