জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা চায় ১৪ দল

প্রকাশ | ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অসত্য তথ্য উপস্থাপনের জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ক্ষমতাসীন ১৪ দল। জোটের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, “টক শোতে ডা. জাফরুল্লাহ সেনাবাহিনীর নামে অসত্য তথ্য দিয়েছেন। তিনি বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। আমরা ১৪ দলের পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করছি।’ বুধবার ধানমÐিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কাযার্লয়ে জোটের এক বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম। সম্প্রতি সময় টিভিতে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদকে নিয়ে অসত্য তথ্য দেয়ার পর তা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলন করলেও সেখানে আবার তিনি বিভ্রান্তিকর তথ্য দেন বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়। ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে একটি মামলা ইতোমধ্যে হয়েছে, যার তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ। বিএনপি সমথর্ক পেশাজীবী নেতা হিসেবে পরিচিত জাফরুল্লাহ গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেনের উদ্যোগে বিএনপিকে নিয়ে জোট গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। নবগঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে নাসিম বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত নতুন সাথী নিয়ে অযৌক্তিক দাবি তুলে অশুভ চক্রান্ত শুরু করেছে। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে তারা একটি অভিলাষ নিয়ে মাঠে নেমেছে। “১/১১-এর সময় দেশবাসী ড. কামাল হোসেনের ভূমিকা দেখেছে। তিনি তখনকার অনিবাির্চত সরকার সম্পকের্ বলেছিলেন, এই সরকার যত দিন ইচ্ছা চালিয়ে যেতে পারবে। ‘আর ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ৭৫-এর ১৫ অগাস্টে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর খুনি মোশতাককে নিয়ে ডেমোক্রেটিক লীগ করেছিলেন। এই মইনুল ১/১১ পরবতীর্ তত্ত¡াবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা ছিলেন। এখন সেই মইনুল হোসেন, বিএনপি, জামায়াত সব এক হয়ে গেছে। এরা পরীক্ষিত গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি।’ নিবার্চন কমিশনার মাহবুব তালুকদার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে নাসিম বলেন, ‘তিনি সাংবিধানিক পদে আছেন। সাংবিধানিক পদে থেকে কেউ এ ধরনের কথা বলতে পারেন না। তার পদ ছেড়ে দেয়া উচিত।’ জাতীয় পাটির্র (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ১৪ দলের এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়া, জাসদের একাংশের সভাপতি শরিফ নূরুল আম্বিয়া, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, ওয়াকার্সর্ পাটির্ পলিটব্যুরোর সদস্য কামরূল আহসান প্রমুখ।