আপদকালীন সার মজুদ হচ্ছে আরও ৩৪ গুদাম

প্রকাশ | ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
ইউরিয়া সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার জন্য দেশজুড়ে আরও ৩৪টি বাফার সার গুদাম নিমার্ণ করবে সরকার। এসব গুদামে ৮ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার মজুদের লক্ষ্যমাত্রা নিধার্রণ করা হয়েছে। নিমির্ত হলে গুদামের ভাড়া ও সার রি-ব্যাগিং বাবদ খরচ মিলিয়ে বছরে অতিরিক্ত প্রায় ৬০০ কোটি টাকা সাশ্রয়ের আশা করছে সরকার। এ লক্ষ্যে ‘সার সংরক্ষণ ও বিতরণ সুবিধাথের্ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নিমার্ণ’ শীষর্ক প্রকল্প হাতে নিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। ২ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কপোের্রশন (বিসিআইসি)। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের জুন পযর্ন্ত। গুদামগুলোর অথৈর্নতিক আয়ুষ্কাল ধরা হয়েছে ৫০ বছর। আগে থেকেই দেশের ১৩ জেলা- নীলফামারী, সুনামগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, চঁাপাইনবাবগঞ্জ, পঞ্চগড়, শেরপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, পাবনা, যশোর, বরিশাল, রাজবাড়ী এবং গাইবান্ধায় বাফার গুদাম নিমার্ণ চলছে। নতুন প্রকল্পের আওতায় গুদাম নিমির্ত হবে- সিরাজগঞ্জের সদর, কাজীপুর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, নড়াইল, মাগুরা, খুলনা, সাতক্ষীরা, বগুড়া, নওগঁা, গাইবান্ধা, রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, ঠাকুরগঁাও, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, রাজশাহী, নাটোর, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কুমিল্লা, চঁাদপুর, লক্ষ্মীপুর, মানিকগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে। কমর্কতাের্দর ভাষ্যে, রাজশাহীর বাঘাবাড়ী ও যশোর নওয়াপাড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৯ লাখ মেট্রিক টন সার খোলা আকাশের নিচে থাকে। ফলে জমিতে এসব সারের কাযর্কারিতা কম থাকে। খোলা জায়গায় রাখার কারণে ইউরিয়া সার জমাট বেঁধে দ্রæত নষ্ট হয়ে যায়। আদ্রর্তার কারণে সারের গুণগত মানও ঠিক থাকে না। ফলে প্রকৃত সুফল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন কৃষকেরা। সেজন্য সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধাথের্ মজুদ নিশ্চিত করার জন্য এই বাফার গুদাম নিমার্ণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মু. আনোয়ারুল আলম বলেন, কৃষিখাতে কৃষকের চাহিদার শীষের্ ইউরিয়া সার। কিন্তু চাহিদার তুলনায় এই সার সংরক্ষণ ও বিতরণে আমাদের তেমন কোনো ভালো ব্যবস্থা নেই। সেজন্য নতুন করে ৩৪টি সার গুদাম নিমাের্ণর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, বতর্মানে বিসিআইসির ২৫টি বাফার গুদাম আছে। এগুলোতে ৩ লাখ মেট্রিক টন সার মজুদ রাখা যায়। ১৩টি গোডাউন নিমার্ণাধীন, এসবের মধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার মজুদ রাখা যাবে। তারপরও মজুদ ব্যবস্থা পযার্প্ত মনে হচ্ছে না বিধায় মন্ত্রণালয় নতুন করে ৩৪টি গুদাম নিমাের্ণর উদ্যোগ নিয়েছে। বিসিআইসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (রসায়ন) কাজী আশরাফুল ইসলাম বলেন, বতর্মানে দেশে ইউরিয়া সারের চাহিদা বছরে ২৫ লাখ মেট্রিক টন। খাদ্য উৎপাদনের নিশ্চয়তার স্বাথের্ বছরে বিভিন্ন দেশ থেকে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার সার আমদানি করা হয়। ৩৪টি সার গুদাম নিমির্ত হলে পিক সিজনের পরিবতের্ অফ পিক সিজনে এসব সার আমদানি করা হবে, তাতে নানা দিক বিবেচনায় ৬০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে সরকারের।