গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ত্যাগ স্বীকার করতে হবে : নজরুল

প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
জাতীয় প্রেসক্লাবে বৃহস্পতিবার আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান Ñযাযাদি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান দলীয় নেতাকমীের্দর উদ্দেশে বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আরও ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। এ জন্য তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রস্তুতি নেয়ার আহŸান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকসহ দেশের সব ব্যাংক লুট করা হয়েছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) মতো প্রতিষ্ঠান ২০১৭ সালকে ব্যাংক লুটের বছর এবং এ দশককে ব্যাংক লুটের দশক ঘোষণা দিয়েছে। নজরুল ইসলাম খান বলেন, অথর্ পাচারের (মানি লন্ডারিং) অভিযোগে তারেক রহমানের সাজা হয়। আর ৬ লাখ কোটি টাকারও বেশি মানি লন্ডারিংয়ের ব্যাপারে কোনো তদন্ত পযর্ন্ত হচ্ছে না! কেন? কারণ, সরকার এবং সরকারি দলের লোকজন ও তাদের বেনিফিশিয়ারিরাই এর জন্য দায়ী। দেশের জনগণ ক্ষুব্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের অধিকার ক্ষুণœ করা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। এসবের বিরুদ্ধে আন্দোলনতো হবেই। সেই আন্দোলনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যেই বৃহত্তর ঐক্য গঠিত হয়েছে। ২০-দলীয় জোটের মাধ্যমে আমরা যেসব দাবিতে আন্দোলন করেছিলাম। ২০১৬ সালের মে মাসে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া যেসব দাবি জানিয়েছিলেন, আজকে আমরা দেখছি দেশের প্রায় সব বিরোধী রাজনৈতিক দল সেই দাবির প্রতি একমত। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছে, আমরা সেখানে আছি জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দাবির সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবি মিলে গেছে। আমরা একই দাবিতে আন্দোলন করছি, কাজেই আমরা একসঙ্গেই আন্দোলন করতে পারি। বাম রাজনৈতিক দল এমনকি চরমোনাইর পীরও যে দাবি উত্থাপন করেছেন, সেটাও এই দাবির সঙ্গে সঙ্গতিপূণর্। কাজেই যারা দেশে যথাথর্ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা চায়, একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নিবার্চন চায়, জনগণের শাসন কায়েম করতে চায়, দেশকে দুনীির্ত-অনাচার থেকে রক্ষ করতে চায় এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চায়। তারা সবাই একটা সময় ঐক্যবদ্ধ হবেÑ এটাই স্বাভাবিক। অতীতে তাই হয়েছে, এবারও হচ্ছে। এই ঐক্য আরও জোরদার ও সম্প্রসারিত হবে বলেও যোগ করেন তিনি। সরকার এই ঐক্যের ব্যাপারে নানা রকমের অপপ্রচার চালাচ্ছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণ এতে বিভ্রান্ত হবে না । এমনকি দুই-একটা দল যদি সেখান থেকে ছিটকে পড়ে, এতেও জনগণ মোটেও বিভ্রান্ত হবে না। বরং যারা ছিটকে পড়ে, তারাই আস্তাকঁুড়ে চলে যায়। মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ ফসল গণতন্ত্র অজের্নর জন্য আমাদের আরও ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। যারা জীবন দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছেন, তারা আমাদের কাছে অনেক কিছু প্রত্যাশা করেন। ব্যক্তি ও দলীয় স্বাথের্র ঊধ্বের্ উঠে আমাদের তাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য আন্দোলন জোরদার করতে হবে। আগামী দিনে স্বৈরাচারী ব্যবস্থার পরিবতর্ন করে বাংলাদেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আয়োজক সংগঠন সম্মিলিত ছাত্রফোরামের সভাপতি নাহিদুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, খালেদা ইয়াসমিন, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু প্রমুখ।