ঘোষিত তারিখে নিবার্চন

কামালের সামথর্্য জানা আছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির একটা দুঃসময় যাচ্ছে, খারাপ সময়। ড. কামাল হোসেন দায়িত্ব নিয়েছেন এটা থেকে উদ্ধার করার।’

প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের সামথ্যর্ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘ড. কামালের সামথ্যর্ আমাদের থেকে কেউ ভালো জানে না। যত দফাই দেয়া হোক না কেন, যত ক‚টনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক হোক না কেন, আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাব। এ সরকারের অধীনে নিবার্চন কমিশন ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নিবার্চন হবে।’ রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুক্রবার কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমাসর্ অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (কেবিসিসিআই) আয়োজিত ‘শো-কেস কোরিয়া’ শীষর্ক মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তোফায়েল আহমেদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির একটা দুঃসময় যাচ্ছে, খারপ সময়। ড. কামাল হোসেন দায়িত্ব নিয়েছেন এটা থেকে উদ্ধার করার। ড. কামাল হোসেনের কী সামথর্ আছে, এটা আমাদের থেকে কেউ ভালো জানে না। আমরা সব জানি। আমাদের সৌভাগ্য হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেয়া আসনে তাকে বিজয়ী করে সংসদ সদস্য করা, বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায়। আমাদের সৌভাগ্য হয়েছিল তাকে মনোনয়ন দেয়ার, ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন।’ তিনি বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার কুশিলবের ফঁাসির হুকুম হয়েছে। তারেক জিয়ার যাবজ্জীবন কারাদÐ হয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের দেশের কিছু নীতিবান লোক, যারা নীতির কথা বলেন তারা যুক্ত হয়েছে। গণতন্ত্র মানে কি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা? গণতন্ত্র মানে কি ২০১৪ সালের নিবার্চন বানচাল করার জন্য মায়ের কোল খালি করা, পেট্রোল বোমা মারা? এ কাজে যুক্ত হয়েছে কিছু লোক। দুভার্গ্যজনক হলেও তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড. কামাল হোসেন।’ তোফায়েল বলেন, ‘নিবার্চন কমিশন নিবার্চনের তারিখ ঘোষণা করেন, এটা তাদের এখতিয়ার। নিবার্চনকালীন সরকারে থাকবে বতর্মান সরকার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এ সরকারের আমলে নিবার্চন কমিশন ঘোষিত তারিখ অনুসারে নিবার্চন হবে। তারা (ঐক্যফ্রন্ট) সাত দফা দাবি দিয়েছে। এগুলো সংবিধান পরিপন্থি দফা। একটা দফাও গ্রহণযোগ্য না। নিবার্চন হবে যথাসময়ে।’ ‘নিবর্চন অংশগ্রহণমূলক হবে, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। নিবার্চন কমিশন নিবার্চন পরিচালনা করবে। এর বাইরে যত দফাই দেয়া হোক না কেন, যত ক‚টনীতিকের সঙ্গে বৈঠক হোক না কেন, আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাব। গ্রামের মানুষ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পক্ষে। ৬৬ শতাংশ মানুষ শেখ হাসিনাকে পছন্দ করেন’ যোগ করেন তোফায়েল আহমেদ। পদ্মা সেতুর প্রসঙ্গ তুলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ ভাবে নাই আমাদের নিজস্ব অথার্য়নে পদ্মা ব্রিজ করতে পারব। আমাদের দেশেরই কোনো ব্যক্তি ষড়যন্ত্র করে বিশ্বব্যাংকের অথার্য়ন বন্ধ করে দেয়। দুনীির্তর অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। কিন্তু কানাডার আদালতে প্রমাণ হয় কোনো দুনীির্ত হয়নি। সেদিন প্রধানমন্ত্রী সংসদে দঁাড়িয়ে বলেছিলেন, আমি আমার অথার্য়নে পদ্মা ব্রিজ করব। ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা পদ্মা ব্রিজ দেখতে গিয়েছিলাম। ৬০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন পদ্মা ব্রিজ দৃশ্যমান।’ কেবিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হু ক্যাং-ইল। সম্মানিত অতিথি ছিলেন ব্যবসায়ীদের শীষর্ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন।