বিদ্যুৎ উৎপাদন ছয়গুণ বেড়েছে: অথর্মন্ত্রী

প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
আবুল মাল আবদুল মুহিত
বিদ্যুতের উৎপাদন ছয়গুণ বৃদ্ধি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন অথর্মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, সারা দেশে এখন আর বিদ্যুতের সংকট নেই। পুরো দেশ বিদ্যুতের আলোয় ঝলমল করছে। মানুষের জীবনমান এখন উন্নয়ন হয়েছে। শুক্রবার সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ‘একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, সদস্য সমাবেশে’ তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে অথর্মন্ত্রী সিলেট সদর উপজেলায় ১২ উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে ৫টির উদ্বোধন ও ৭টি কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। মুহিত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গত দশ বছরে ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রার অনেকাংশে পূরণ করতে পেরেছে। সরকারের বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করতে জনগণের ঐক্য ও সহযোগিতা প্রয়োজন। অথর্মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে চারিদিকে এক সময় দারিদ্র্যপিড়ীত মানুষের হাহাকার, আতর্নাদ দেখে কষ্ট পেতাম। স্বপ্ন ছিলো সুযোগ পেলে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করবো। আমার সেই ইচ্ছে পূরণ হয়েছে অবসরকালীন সময়ে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে সরকারের একটি গুরুত্বপূণর্ পদে কাজ করার সুবাদে। এজন্য আমি আত্মতৃপ্ত এবং আনন্দিত। দেশের দারিদ্র্যের হার কমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ৫৮ শতাংশ। এখন ২২.৩ শতাংশে নেমে এসেছে। এটা সম্ভব হয়েছে বতর্মান সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে। আগামী পঁাচ বছর সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে দারিদ্র্য ১০ শতাংশে নেমে আসবে। সিলেট সদর উপজেলা নিবার্হী কমর্কতার্ (ইউএনও) সিরাজাম মুনিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আবদুল মোমেন, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের পরিচালক ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর হোসেন, সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ প্রমুখ বক্তব্য দেন। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের উপ-পরিচালক মো. গোলাম ছারুয়ারের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড ও এসডিএফ এর পরিচালক সৈয়দ এপতার হোসেন পিয়ার, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নিবার্হী প্রকৌশলী এএসএম মহসীন, সদর উপজেলার কান্দিগঁাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন, খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আফছর আহমদ, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সুফলভোগী সদস্য মাসুম আহমদ ও শিরিন আক্তার প্রমুখ।