যেকোনো আইন সংশোধন করা যায়: তথ্যমন্ত্রী

ডিজিটাল দুনিয়ায় উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিস্তার ঠেকাতে সংবাদমাধ্যমকে সরকারের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করার আহŸান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন হতে পারেÑ এমন ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘যেকোনো আইন পরীক্ষা করা যায়, সংশোধন করা যায়।’ রোববার ঢাকায় বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের তৃতীয় জাতীয় সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন। উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাকে গণতন্ত্র, গণমাধ্যম এবং সমাজের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই সমস্যা মোকাবেলার জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘উগ্রবাদের হুমকি ডিজিটাল সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে। এর বিরুদ্ধে লড়তে সরকার ও সংবাদমাধ্যমকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’ সরকার বলে আসছে, সম্প্রতি সংসদে পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ডিজিটাল মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি উগ্রবাদের বিস্তার ঠেকাতেও সহায়ক হবে। চলতি মাসের শুরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেছেন, সাইবার সিকিউরিটি এখন প্রতিটি দেশেই বিরাট সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসসহ নানা ধরনের অপরাধের বিস্তার ঘটছে জিডিটাল মাধ্যমে। সেসব মাথায় রেখেই সরকার ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন করেছে। তবে ওই আইনের আটটি ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন সেটা সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছে। তাদের অভিযোগ, ওই ধারাগুলো ‘স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মুক্ত গণমাধ্যমের পরিপন্থি’। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশ্বস্ত করতে পারি, গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর জন্য এই আইন নয়।’ ১৭ বছরের পুরনো বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের এবারের সম্মেলনটি হচ্ছে ১১ বছর পর। সারাদেশ থেকে প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন সেতারা মূসা এই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন হুইল চেয়ারে বসে। ৮০ পেরুনো এই নারী সেই ১৯৫০-এর দশকে তার সাংবাদিকতার শুরুর দিনগুলোর কথা স্মরণ করেন এবং মিলনায়তনভতির্ নারী সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, আগামী বছর এই সংখ্যা দ্বিগুণ হবে।’ বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হকের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা এবং কোষাধ্যক্ষ আখতার জাহান মালিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।