ধুলায় ধূসর মিরপুর, বাড়ছে সংক্রামক ব্যাধি

প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
ধুলায় আক্রান্ত মিরপুরবাসী। ছবিটি রোববার তোলা Ñযাযাদি
রাজধানীতে বষার্জুড়েই ছিল কাদাপানি আর খানাখন্দের দুভোর্গ। অন্যসব এলাকার মতো মিরপুরবাসীও এতে ছিলেন অতিষ্ঠ। বষার্ মৌসুম শেষে এখন শীত না আসতেই ধুলায় ধূসর হয়ে পড়েছে রাজধানীর ঘনবসতিপূণর্ এলাকাগুলোর মধ্যে একটি মিরপুর। ঘর থেকে বের হলেই পড়তে হচ্ছে ধুলার কবলে। শিশু, বৃদ্ধ থেকে শুরু করে কোমলমতি শিক্ষাথীর্ সবাই প্রতিনিয়ত এ দুভোের্গর শিকার হচ্ছেন। ধুলাদূষণ থেকে নিজেকে বঁাচাতে অনেকেই নাকে হাত বা রুমাল দিয়ে চেপে ধরছেন। ধুলার তীব্রতায় অনেক জায়গায় মাস্কও কাজে আসছে না। আর ধুলায় ঢাকা পড়ছে খাবার হোটেল, ফুটপাতের দোকান। বৃদ্ধি পাচ্ছে বিভিন্ন সংক্রামক ব্যাধি। শনিবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মিরপুর-১২ নম্বর থেকে আগারগঁাও পযর্ন্ত চলছে মেট্রোরেলের কাজ। এতে রাস্তা সংকুচিত হয়ে পড়েছে। খেঁাড়াখুঁড়ির প্রভাব পড়েছে রাস্তায়। শীতের আগমনী বাতার্র সঙ্গে এ রাস্তায় বেড়েছে ধুলার উপদ্রব। প্রচÐ ধুলায় মানুষজনের নাস্তানাবুদ অবস্থা। সবচেয়ে বেশি দুভোের্গ পড়েছেন অফিসগামী ও স্কুলগামী শিক্ষাথীর্রা। ধুলার কারণে রাস্তার পাশের হোটেলের বিক্রি কমে গেছে। ট্রাফিক পুলিশ, মেট্রোরেলের কমর্চারী, রিকশা চালক, পথচারী কমবেশি সবাই মাস্ক পরে নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত। শাহিন আহমেদ নামে একটি বেসরকারি ব্যাংক কমর্কতার্ বলেন, রাস্তায় এখন বের হতে ইচ্ছা করে না। ধুলায় ধূসর সবর্ত্র। মাস্কও ধুলার মোকাবেলা করতে পারছে না। এ সময় তিনি হাত দিয়ে ইশারায় একটি কালো রঙের গাড়ি দেখান। যেটি ধুলায় ধূসর রং ধারণ করেছে। তিনি বলেন, ধুলার কারণে চায়ের দোকান আর খাবারের হোটেলে মানুষ খেতে পারেন না। সেখানে বিক্রিও কমেছে। ধুলায় মিরপুর ১০, ১২, পল্লবী, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগঁাও এলাকার পরিস্থিতি একেবারে শোচনীয়। যেভাবে ধুলার সৃষ্টি: ‘উন্নয়ন’ কাজের খেঁাড়াখুঁড়ি, ভবন নিমাের্ণর মাটি, বালু, সিমেন্ট, পাথর, নুড়িপাথর, কংক্রিট যত্রতত্র রেখে দেয়া। আবার রাস্তা দখল করে ভবনের বজ্যর্ মাসের পর মাস ফেলে রাখায় সেখান থেকে পদপিষ্ট হয়ে ধুলোর সৃষ্টি হয়। কিছু কিছু স্থানে রাস্তার পাশের ড্রেনের ময়লা জমিয়ে রাখায় শুকিয়ে যাচ্ছে। এগুলো থেকেও ধুলা উড়ছে। এসব ময়লা রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ায় তা ধুলায় পরিণত হয়ে দূষণের সৃষ্টি করছে। বিশেষজ্ঞের মত: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে নানা সংক্রামক ব্যাধি। এর মধ্যে শ্বাসকষ্ট, যক্ষা, হঁাপানি, চোখের সমস্যাসহ ফুসফুসে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বেশি। এসবের অন্যতম কারণ ধুলার দূষণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আতিয়ার রহমান বলেন, ধুলা দূষণের কারণে নানা সংক্রামক ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ছে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকতে হচ্ছে নগরবাসীকে। দূষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।