জামায়াতের সঙ্গে জোটকারীও নিবার্চনের অযোগ্য : নিমূর্ল কমিটি

প্রকাশ | ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আদালতের নিদেের্শ নিবার্চনে অযোগ্য হওয়ায় দলটির সব সদস্যও নিবার্চনের অযোগ্য। তারা স্বতন্ত্র থেকেও নিবার্চনে অংশ নিতে পারবে না। এমনকি জামায়াতের সঙ্গে জোট করেও কোনো দল নিবার্চন করলে সে দলও নিবার্চনের অযোগ্য হবে। মঙ্গলবার নিবার্চন কমিশনে (ইসি) সাক্ষাৎ করে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে আদালতের দেয়া আদেশের এমন ব্যাখ্যা দিয়েছে ঘাতক-দালাল নিমূর্ল কমিটি। একইসঙ্গে সংগঠনটি বেশকিছু দাবিও তুলেছে। জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে রায়ের ব্যাখ্যায় বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেছেন, যেহেতু আমি বিষয়টি জানি তাই ব্যাখ্যা দিয়েছি- যে জামায়াতকে নিবার্চনের অযোগ্য ঘোষণা করেছে আদালত। তাই জামায়াতের কোনো সদস্য নিবার্চনে অংশ নিতে পারবে না। একইসঙ্গে এ দলটির সঙ্গে জোটগতভাবে কেউ নিবার্চনে অংশ নিলে সে দলও নিবার্চনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। এই ব্যাখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে নিবার্চন কমিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কাযির্নবার্হী কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, শুধু জামায়াতে ইসলামী নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, জঙ্গি, সন্ত্রাসী সংগঠনও যাতে নিবার্চনে অংশ নিতে না পারে, সে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছি। এক্ষেত্রে হেফাজতে ইসলামও যদি নিবার্চনে অংশ নেয়, তারা যে সন্ত্রাসী সংগঠন তা আমরা চ্যালেঞ্জ করতে পারব। অধ্যাপক মুনতাসির মামুন বলেন, আমরা তিনটি দাবি জানিয়েছি, প্রথমত জামায়াতসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কোনো দল বা ব্যক্তি যেন নিবার্চনের সুযোগ না পায়। এজন্য প্রাথীর্র কাছ থেকে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর নেয়া, যে তিনি কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, স্বাধীনতাবিরোধী নন, আদালতের রায়ে নিবন্ধন বাতিল হওয়া বা নিবার্চনের অযোগ্য কোনো দলের সদস্য নন বা সম্পৃক্ত নন। দ্বিতীয়ত; সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং তৃতীয়ত, সেনাবাহিনীকে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না করা। বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধান নিবার্চন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদাসহ অন্য নিবার্চন কমিশনার, ইসি সচিব এবং ঘাতক দালাল নিমূর্ল কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।