রাষ্ট্রের কমর্কতাের্দর দলীয় কাজে ব্যবহার ষড়যন্ত্র: এমাজউদ্দীন

প্রকাশ | ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক স্মরণসভায় বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচাযর্ অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ Ñযাযাদি
ঐক্য প্রক্রিয়া ষড়যন্ত্র নয় মন্তব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচাযর্ অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, রাষ্ট্রের কমর্কতাের্দর দলীয় কাজে ব্যবহার করা ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্র যতক্ষণ পযর্ন্ত আছে, ততক্ষণ কষ্ট সহ্য করতে হবে। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক স্মরণ সভায় একথা বলেন তিনি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ারের প্রথম মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে ‘নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম’ এ স্মরণ সভার আয়োজন করে। এমাজউদ্দীন বলেন, গত ৮-৯ বছরে প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে লোকজন নিয়োগ হয়েছে মেধার ভিত্তিতে নয়, দলের নেতার প্রতি অনুগত হওয়ার জন্য প্রতিটি নিয়োগ হয়েছে। এজন্য আমরা প্রশাসনের দিকে তাকালে দেখতে পাই, তারা হয়তো ভুলে গেছেন তারা রাষ্ট্রের কমর্কতার্, কোনো দলের না, কোনো সরকারের কমর্কতার্ তারা নয়। রাষ্ট্রের জনগণের কষ্টে অজির্ত অথর্ দিয়েই তাদের বেতন দেয়া হয়। জনকল্যাণে, রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজে তাদের সংশ্লিষ্ট থাকার কথা। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দল ঐক্য প্রক্রিয়াকে ষড়যন্ত্র বলতে চাচ্ছে। আমি বলব ষড়যন্ত্র ওইটা না। ষড়যন্ত্র হলো রাষ্ট্রের কমর্কতাের্দর দলের কাজে ব্যবহার করা। এই ষড়যন্ত্র যতক্ষণ পযর্ন্ত আছে, ততক্ষণ কষ্ট সহ্য করতে হবে। এমাজউদ্দীন বলেন, এই ষড়যন্ত্রকে মুছে ফেলার জন্য প্রয়োজন হবে জাতীয় পযাের্য় ঐক্য। যার সূচনা হয়েছে, কিন্তু সমালোচনা করার দরকার নেই। প্রয়োজন হলে আত্মসমালোচনার জায়গা আছে, যে জাতির কল্যাণে আমরা কতটুকু অবদান রাখতে সক্ষম হচ্ছি, এদিকে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, এই মুহূতের্ আমরা জাতীয় পযাের্য়র মস্ত বড় সংকটের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করছি। এই সংকট থেকে উত্তরণে একাধিক পথ নেই। বাংলাদেশের জনগণ অতীতেও এ রকম সংকট একাধিকবার অতিক্রম করেছে। নিজেদের আত্মবিশ্বাস নিয়ে যা ন্যায়, যা গ্রহণযোগ্য তার জন্য উঠে দঁাড়ানো এই মুহূতের্ সবচেয়ে প্রয়োজন। এমাজউদ্দীন বলেন, এই সংকট তৈরি হলো কী করে। দুটো বড় কারণ আছে, এই দুটো বড় কারণেই আওয়ামী লীগ এই সংকটের জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, এই সরকার মস্ত বড় প্রশ্নবোধক কাজ করে চলেছে। গত ৮-৯ বছরের মধ্যে দল এবং সরকারের মধ্যে যে পাথর্ক্য, তা মুছে ফেলা হয়েছে। রাষ্ট্র, সরকার এবং দলের মধ্যে কোনো পাথর্ক্য নেই। রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে আমি রাষ্ট্রের সমালোচনা করতে পারি না, কিন্তু আমি সরকারের সমালোচনা করতেই পারি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেখানে গণতন্ত্র আছে সেখানে সরকারের সমালোচনা করার জন্য বিরোধী দল আছে। দল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সম্পূণর্ ভিন্ন। কিন্তু রাষ্ট্রের কমর্কতার্ দলীয় কাজে সম্পৃক্ত হবে এটা মোটেও কাম্য নয়। আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কনের্ল (অব) আনোয়ারুল আজিম, জাতীয় নিবার্হী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।