গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতেই ঐক্যফ্রন্ট গঠন: মাকসুদ

প্রকাশ | ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি সম্পকের্ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের কুরুচিপূণর্ বক্তব্যের প্রতিবাদে মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা পাদদেশে মানববন্ধন করেন ঢাবির শিক্ষক ও কমর্কতার্রা Ñযাযাদি
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের সমালোচনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। তিনি বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছে। নারীদের অপমানের মধ্য দিয়ে এই ফ্রন্টের নেতাদের মুখোশ জনগণের সামনে উন্মোচিত হয়েছে।’ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলায় আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি সম্পকের্ ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের ‘কুরুচিপূণর্’বক্তব্যের প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক, কমর্কতার্-কমর্চারীরা এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন। অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, ‘সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে কুরুচিপূণর্ মন্তব্য করে মঈনুল হোসেন পুরো নারী জাতিকে অপমান করেছেন। এর মাধ্যমে তার কুৎসিত মনোজগতের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এর আগেও অসাংবিধানিক সরকারের উপদেষ্টা থাকাকালে তিনি ঢাবি শিক্ষকদের অপমান করেছিলেন। তার এসব কমর্কাÐে মধ্যযুগের মনোভাব ফুটে উঠেছে। আর তিনিই হচ্ছেন এখন ঐক্যফ্রন্টের নেতা।’ ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সাবধান করে অধ্যাপক মাকসুদ কামাল আরও বলেন, ‘আপনাদের আরেক নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না দেশকে অস্থিতিশীল করতে ঢাবিতে লাশ ফেলার কথা বলেছিলেন। আপনাদের মনোভাব জনগণ বুঝে গেছে। ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় যাওয়ার দুরভিসন্ধি করবেন না। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নাম করে দেশে বিরাজমান গণতন্ত্রকে ধ্বংস করবেন না।’ ঐক্যফ্রন্টকে নারীবিরোধী ফ্রন্ট অভিহিত করে সভাপতির বক্তব্যে ঢাবি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, ‘এটি একাধারে স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রবিরোধী ফ্রন্ট। এই ফ্রন্টের নেতা মঈনুল হোসেনের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাÐের সম্পকর্ আছে। খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে তিনি দল গঠন করেছিলেন। তিনি সবসময় আমাদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। আপনারা তারাই, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে আপনারা নারী ও দেশের অগ্রযাত্রা বন্ধ করতে পারবেন না।’ এতে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, ঢাবি শিক্ষক অধ্যাপক বজলুল হক খন্দকার, অধ্যাপক নিজামুল হক ভ‚ইয়া, কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ শবনম জাহান, অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, ঢাবি কমর্কতার্ শিউলী আফসার প্রমুখ।