নিবার্চনের আগে জনগণকে বাতার্ দেবে সম্প্রীতি বাংলাদেশ

প্রকাশ | ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
নিবার্চনের আগে সম্প্রীতির বাতার্ নিয়ে মানুষের কাছে যাবে সম্প্রীতি বাংলাদেশ নামক একটি সংগঠন। সেই সঙ্গে, নিবার্চনকে সামনে রেখে কোনো অপশক্তি যেন নতুন করে কোনো অঘটন ঘটাতে না পারে, সেদিকে তীক্ষè দৃষ্টি রাখার আহŸানও জানিয়েছে সংগঠনটি। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সম্প্রীতির উদাহরণ এখন বাংলাদেশ’ শীষর্ক সংবাদ সম্মেলনে এ আহŸান জানানো হয়। সংগঠনের আহŸায়ক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আবারও ১৯৫২, ১৯৫৪, ১৯৬৯ আর ১৯৭১-এর মতো একতাবদ্ধ হয়ে হিংস্র শকুনের দলকে রুখে দেয়ার সময় এসেছে। আমাদের হাজার বছরের ইতিহাস মিলন আর সম্প্রীতির ইতিহাস। ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িকতার স্থান সেখানে নেই, স্থান নেই একাত্তরের পরাজিত শক্তির।’ ধমের্র দোহাই দিয়ে যারা মুক্তিযুদ্ধের আদশর্ জলাঞ্জলি দিতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে রুখে দঁাড়াতে আহŸান জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘সামনে আরেকটি জাতীয় নিবার্চন আসছে। আমাদের আশঙ্কা এই নিবার্চনকে সামনে রেখে অশুভ সাম্প্রদায়িক শক্তি নতুন করে মাথাচাড়া দিতে পারে। এজন্য নিবার্চনকে সামনে রেখে কোনো অপশক্তি যেন নতুন করে কোনো অঘটন ঘটাতে না পারে, সেদিকে আমাদের তীক্ষè দৃষ্টি রাখতে হবে।’ এ সময় তিনি বলেন, ‘নিবার্চনের আগে সম্প্রীতির বাতার্ নিয়ে আমরা মানুষের কাছে যাবো। আমার ভোট আমি দেব, তবে অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে দেব।’ চলতি বছর কোনো রকম অঘটন ছাড়াই তিনটি বড় ধমীর্য় উৎসব পালিত হয়েছে জানিয়ে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দেশের মানুষের সম্প্রীতি মনোভাবের কারণেই অন্ধকারের কুশীলবরা কোনো অঘটন ঘটাতে পারেনি। তাই একই ধারাবাহিকতায় প্রবারণ পূণির্মা ও বড়দিন উৎসবও নিবিের্ঘœ পালিত হবে।’ জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান বলেন, ‘যারা গণতন্ত্রের নামে দেশে অঘটন ঘটিয়েছে আমরা সেই শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে চাই না। উন্নয়নের ও সম্প্রীতির দেশকে রক্ষায় নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে হবে। এর বিকল্প মানেই সম্প্রীতি নষ্ট, নিযার্তন, একাত্তরের পরাজিত শক্তির উত্থান।’ সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক সংগঠনের পক্ষে ড. অসিম কুমার সরকার, ড. মামুন আল মাহতাব, ড. নুজহাদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।